কয়লা-কাণ্ডে কলকাতায় সিবিআই হানা, একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুরু তল্লাশি

Dec 22, 2020 | 10:50 AM

এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকার একটা বড় অংশ লেনদেন করা হত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই লালাকে অন্তত তিন বার নোটিস পাঠিয়েছে দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এখনও লালা সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি।

কয়লা-কাণ্ডে কলকাতায় সিবিআই হানা, একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুরু তল্লাশি
গণেশ বাগাড়িয়ার ফ্ল্যাটে সিবিআই আধিকারিকদের হানা।

Follow Us

কলকাতা: কয়লা-কাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের (CBI) তল্লাশি। কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কলকাতা এবং আশেপাশে পাঁচ জায়গায় চলেছে সিবিআইয়ের তল্লাশি। তালিকায় রয়েছে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার নাম। সূত্রের খবর, আয়কর দফতরের হানার পর থেকেই পলাতক তিনি। তাঁর সঙ্গে লালার মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

সিবিআই সূত্রে খবর, বেআইনিভাবে কয়লা তুলে তা পাচার করে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করতেন লালা। সেই টাকার একটা অংশ পাঠানো হত কলকাতায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কাছে। যাতে প্রশাসন কয়লা পাচারে বাধা না দেয়। তার পাশাপাশি, পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বাজারে লগ্নি করতেন লালা। তাঁর বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি পেয়েছেন যা থেকে উঠে এসেছে এই ব্যবসায়ীদের নাম।

আরও পড়ুন: ‘আর কিছুদিন আছো, করে খাও’, দুয়ারে সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীদের ইতিমধ্যেই সমন পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু কেউই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি। এর পরেই তাঁদের বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, লালার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন কীভাবে হয়েছে, এর মধ্যে অন্য কেউ আছে কি না তা খোঁজ করছে গোয়েন্দারা। লালার এক সহযোগী নীরজ সিংহকে জেরা করেও এই ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে বলে ইঙ্গিত সিবিআই আধিকারিকদের।

সূত্রের খবর, এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকার একটা বড় অংশ লেনদেন করা হত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই লালাকে অন্তত তিন বার নোটিস পাঠিয়েছে দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এখনও লালা সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি। গ্রেফতারির আশঙ্কায় লালা কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন সিবিআইয়ের করা মামলার বিরুদ্ধে। সোমবার লালা আইনজীবীর মাধ্যমে সিবিআইয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে হাইকোর্টে তাঁর মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছেন হাজিরা দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে ঠান্ডা বড়দিনে, কনকনে শীতেই কাটবে বছরের শেষটা

সিবিআই আধিকারিকদের একাংশের দাবি, লালার এই কয়লা পাচারের কারবারে সক্রিয়ভাবে যোগ রয়েছে ইসিএল, কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের একাংশের। যোগ রয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালীর যাঁরা সরাসরি কয়লা পাচারের টাকার ভাগ পেয়েছেন এবং বিনিময়ে লালার বেআইনি কারবার চালাতে সাহায্য করেছেন এতদিন। সেই সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ভূমিকাও সিবিআই আধিকারিকরা তদন্ত করে দেখছেন।

Next Article