‘আর কিছুদিন আছো, করে খাও’, দুয়ারে সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এ বছর বিভিন্ন দফতরে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হল। একইসঙ্গে যে সমস্ত কর্মীরা দিনরাত খেটে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে সফল করে তুলছেন তাঁদের জন্য টিফিনভাতা হিসাবে দু'মাসে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমান: দুয়ারে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। ‘যাওয়ার আগে করে খাওয়ার’ জন্যই এই বরাদ্দ বৃদ্ধি বলে তোপ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। মঙ্গলবার কাটোয়ায় চায়ে-পে-চর্চায় যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের কর্মীদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করে ধরে রাখার জন্যই এইসব টাকা বাড়ানো। যত তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে, ততই মমতার সরকার লোকজনকে দলে ধরে রাখতে টাকা বাড়িয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল আমার বউ চুরি করল, সুজাতা আমার কাছে মৃত: সৌমিত্র
প্রথম থেকেই রাজ্যের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে নানা বিদ্রুপ শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, টাকা নয়ছয় করতেই রাজ্যের এইসব প্রকল্প। দুয়ারে সরকারকে ‘যমের দুয়ারে সরকার’ বলে ব্যঙ্গও করেছেন তিনি। এদিন কাটোয়ায় চা-চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “শুনলাম দুয়ারে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি টাকা যে এখানে নয় ছয় করা হচ্ছে, মোচ্ছব করা হচ্ছে কী লাভ হচ্ছে তাতে। কিছু মানুষ করে খাচ্ছে। পার্টির কর্মীদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করতে হয় না হলে তাঁরা পালিয়ে যাবেন। যত পার্টি ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে, তত টাকা পয়সা খরচ বাড়ছে, পার্টিসার্টি হচ্ছে। আর কিছু দিন আছো, করে খাও এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: নিয়োগ-বিধি বদল করল এসএসসি, প্রথম নিয়োগ হবে সাঁওতালি মাধ্যমে
উল্লেখ্য, সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এ বছর বিভিন্ন দফতরে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হল। একইসঙ্গে যে সমস্ত কর্মীরা দিনরাত খেটে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে সফল করে তুলছেন তাঁদের জন্য টিফিনভাতা হিসাবে দু’মাসে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। এদিন প্রশান্ত কিশোরকে নিয়েও তোপ দাগেন দিলীপ। বলেন, বিজেপিকে নিয়ে ওনার ভাবার দরকার নেই। তৃণমূল একুশের ভোটে দু’সংখ্যা পার করে কি না তা দেখুক। উনি তৃণমূলের থেকে টাকা নিয়েছেন। তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়ার পর ওনাকেই বিদায় নিতে হবে।
সদ্য বাংলা সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গিয়েছেন, একুশের ভোটে ২০০র বেশি আসন পাবে বিজেপি। সোমবারই পাল্টা টুইট করে তৃণমূলের ভোট কুশলী বলেন, ‘ডবল ডিজিট’ পার করতেই বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে গেরুয়া শিবিরকে।