
কলকাতা: আর মাত্র ক’টা দিন। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগেই বড় চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জানুয়ারিতেই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। যা নিয়ে সংঘ পরিবারের মধ্যে এখন থেকেই সাজ সাজ রব। বাংলার ভক্তদেরও অযোধ্যা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। উদ্বোধনের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। এরইণধ্যে বাংলায় এসে লোকসভা ভোটের মুখে আর একবার সেই রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আক্রমণ করলেন রাহুল-সনিয়াদেরও। যা নিয়ে ফের জোর চর্চা বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিন ধর্মতলার মঞ্চে শুরু থেকেই রীতিমতো রণংদেহি মেজাজে দেখা যায় শাহকে। বক্তব্যের একদম শেষে টেনে আনেন রামমন্দিরের প্রসঙ্গ। সববেত জনতার উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেন প্রশ্ন। বলেন, আপনারা বলুন রাম মন্দির তৈরির প্রয়োজন আছে কী নেই? ‘হ্যাঁ’ উত্তরে জনতা গর্জে উঠতেই সনিয়া-মমতাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন শাহ। বলেন, “কংগ্রেস পার্টি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাম মন্দির বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্দিরের ভূমিপুজো করেন। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি মোদীজি এই মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন।” তিনি যখন এ কথা বলছেন তখন গোটা ধর্মতলা চত্বর থেকে শুধুই শোনা যাচ্ছে জয় শ্রী রাম স্লোগান।
তবে শুধু মন্দিরেই আটকে থাকেননি শাহ। মমতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ প্রসঙ্গেও এদিন দফায় দফায় ফুঁসে ওঠেন তিনি। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মোদী কী দিয়েছে! কান খুলে শুনুন, আপনার জন্য হিসেব এনেছি। ইউপিএ সরকার ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালে ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মনরেগায় তিনগুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের জন্য মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ৮ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।”