Nabanna: নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম, সমস্যা জানাতে জেনে নিন ফোন নম্বরগুলি
Waterlogging in Kolkata: সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমরা পাশে আছি, সব সময়, প্রতিটি মুহূর্তে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খুলেছি, আমি দেখছি। কন্ট্রোল রুম সারাক্ষণ খোলা আছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "আকস্মিক দুর্যোগের আক্রমণে বিপর্যস্ত কলকাতা শহরের ও লাগোয়া কিছু এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের সহকর্মীরা ও আধিকারিকরা সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।"

কলকাতা: রাতভর বৃষ্টি। বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বেরতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে চালু করা হল কন্ট্রোল রুম। নবান্নের তরফে বেশ কয়েকটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ে কোনও সমস্যা হলে কন্ট্রোল রুমে সরাসরি ফোন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়েও কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারেন।
নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কন্ট্রোল রুমে ফোন নম্বরগুলি হল, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ এবং ০৩৩-২২৫৩৫১৮৫। এ ছাড়াও টোল ফ্রি নম্বর ৮৬৯৭৯৮১০৭০-এ ফোন করা যাবে। কোনও ইলেকট্রিক পোস্টে তার ঝুলে থাকলেও এই নম্বরগুলিতে ফোন করে জানালে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা পাশে আছি, সব সময়, প্রতিটি মুহূর্তে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খুলেছি, আমি দেখছি। কন্ট্রোল রুম সারাক্ষণ খোলা আছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “আকস্মিক দুর্যোগের আক্রমণে বিপর্যস্ত কলকাতা শহরের ও লাগোয়া কিছু এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের সহকর্মীরা ও আধিকারিকরা সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিভিসি-র একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল। নদী, খাল সব টইটম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল। সেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার উপরে এল এই হঠাৎ বিপুল বৃষ্টি। আমি মেয়র, মুখ্যসচিব প্রমুখের মাধ্যমে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছি।”
কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় CESC-র অবহেলাকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ CESC-র অবহেলায় কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। জীবনের কোনও বিকল্প হয় না। তবুও আমরা প্রতি পরিবারের একজনের চাকরি নিশ্চিত করব। ক্ষতিপূরণ দিতে বলছি CESC-কেও। আমি CESC-র সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আন্তরিক সমবেদনার পাশাপাশি এই ক্ষতিপূরণ-ও পরিবারগুলির প্রাপ্য।”
