মৃত্যুকেও থোড়াই কেয়ার! SSKM-এ ঝুলছে ‘বিষ’ স্যালাইনের বোতল, রায়গঞ্জ, ডায়মন্ড হারবারে একই ছবি
SSKM: বিতর্কিত সংস্থার সবকটি প্রোডাক্টের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তবে সেই নির্দেশে যে কোনও কাজ হয়নি, তা স্পষ্ট। চিকিৎসক সংগঠনের তরফে উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
কলকাতা: সদ্যজাত সন্তানকে রেখে চলে গিয়েছেন মা। স্যালাইনের বিষে বলি প্রসূতি। তারপরও তোয়াক্কা করছে না কেউ! স্বাস্থ্য ভবন বলার পরও রাজ্যের সর্বত্র যে ছবি দেখা গেল, তাতে প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন কি আরও মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে?
না কোনও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, রাজ্যের সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এও ‘বিষ’ স্যালাইন! শনিবারই সামনে এল সেই ছবি। শুক্রবার এই একই সংস্থার স্যালাইনে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। আরও চার প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডায়ালিসিস করে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও ছবিটা বদলাল না। শুধু এসএসকেএম নয়, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, যেদিকে তাকাবেন, সেখানেই এই ছবি। TV9 বাংলার হাতে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর ছবি।
কর্নাটকে যে স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যু হয়েছিল, সেই স্যালাইনেই মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির। এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর। বিতর্কিত সংস্থার সবকটি প্রোডাক্টের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তবে সেই নির্দেশে যে কোনও কাজ হয়নি, তা স্পষ্ট। চিকিৎসক সংগঠনের তরফে উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির বিতর্কিত সেই স্যালাইন ব্যবহার হচ্ছে দেখে আত্মীয়রাও উদ্বিগ্ন। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি তন্ময় পাঁজা বলেন, “আমাদের হাসপাতালে এই ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি। ওই সংস্থার প্রোডাক্টের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে স্বাস্থ্য ভবন।” তাঁর দাবি, কিছুক্ষণ আগেই নির্দেশ এসেছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সেটা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।