
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জেলে বসে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল দেখতে গিয়ে চমকে উঠলেন। লিখিত পরীক্ষায় তাঁকে ‘অনুপস্থিত’ দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষাই দেননি। এই নিয়ে শোরগোল পড়তেই নিজেদের ‘ভুল’ শোধরালো স্কুল সার্ভিস কমিশন। আবদুস সাত্তার নামে ওই চাকরিপ্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার ফল আপডেট করল। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলে পরীক্ষা দেওয়ার পরও একজন চাকরিপ্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার ফলে কীভাবে ‘অনুপস্থিত’ লেখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
বিচারাধীন বন্দি হিসেবে বোলপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থী আবদুস সাত্তার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এসএসসি-র নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দেন তিনি। জেলে বসেই ওই পরীক্ষা দুটি দেন। গত ৭ নভেম্বর একাদশ-দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। আর সেই ফল দেখতে গিয়েই চমকে ওঠেন আবদুস। দেখেন, লিখিত পরীক্ষার ফলে তাঁর নামের পাশে ‘অনুপস্থিত’ লেখা রয়েছে। ওই ফল বলছে, তিনি লিখিত পরীক্ষাতেই বসেননি।
এই নিয়ে শোরগোল পড়ে। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আক্রমণ করে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে বোলপুর সংশোধনাগারে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা দেন আবদুস সাত্তার। আদালতের নির্দেশে পরীক্ষা দেন। দুটো পরীক্ষা দেওয়ার পর আদালতকে জানানো হয়, তাঁর উত্তরপত্র একটি ট্যাঙ্কে করে পাঠানো হয়েছে। এরপরও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষার ফলে দেখানো হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত আবদুস সাত্তার। এ থেকে খুব পরিষ্কার, কীভাবে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জেলের মধ্যে পরীক্ষায় বসার পরও তাঁকে লিখিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে।”
শোরগোল পড়তেই এসএসসি সূত্রে জানানো হয়, ভুল হয়ে থাকতে পারে। দ্রুত ওই চাকরিপ্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার ফল সংশোধন করা হয়েছে। কয়েকঘণ্টা পর ফল সংশোধন করা হয়। সেখানে দেখা যায়, লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে ৩৮ পেয়েছেন আবদুস। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলে বসে ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পরও কীভাবে তার লিখিত পরীক্ষার ফলে ‘অনুপস্থিত’ লেখা হয়েছিল, সেই প্রশ্ন উঠছে।