Coromandel Express derailed: বালেশ্বরে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মমতা
Mamata Banerjee: রাজ্য সরকারের তরফে ৫-৬ জন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অন্যান্য পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতির উপর অবিরাম নজর রাখছেন।
কলকাতা: বালেশ্বরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondel express derailed) প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তিনটি বগি বাদে বাকি সবক’টি বগি লাইনচ্যূত হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার ও ভারতীয় রেল। প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ৫-৬ জন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অন্যান্য পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতির উপর অবিরাম নজর রাখছেন।
উল্লেখ্য, এ রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে যাত্রা করেন। ফলে দুর্ঘটনায় এ রাজ্যের বাসিন্দারাও আহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সেই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটেও। রেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি স্তম্ভিত। আজ সন্ধেেয় বালেশ্বরের কাছে একটি মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে ট্রেনটির। ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গের থেকেও যাত্রীরা ছিলেন। কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। আমরা ওড়িশা সরকার ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আপদকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, ২২৫৩৫১৮৫। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, মানস ভূঁইয়া, দোলা সেন-সহ ৪ জনকে বালেশ্বরে পাঠানো হচ্ছে। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে বাংলার তরফে অবিরাম যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ট্রেনের বেশিরভাগ যাত্রীই পশ্চিমবঙ্গের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম সক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। ওড়িশা সরকার ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।