Behala Murder: দুই ভাইয়ের হেলমেট পাঠানো হল ফরেন্সিক ল্যাবে, পর্ণশ্রী জোড়া খুনে উদ্ধার মোবাইল ফোনও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 16, 2021 | 2:21 PM

Behala Murder Case: গত ৬ সেপ্টেম্বর বেহালা পর্ণশ্রীর সেন পল্লির এক আবাসন থেকে মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Behala Murder: দুই ভাইয়ের হেলমেট পাঠানো হল ফরেন্সিক ল্যাবে, পর্ণশ্রী জোড়া খুনে উদ্ধার মোবাইল ফোনও
গত ৬ সেপ্টেম্বর পর্ণশ্রীর আবাসন থেকে উদ্ধার হয় মা-ছেলের দেহ।

Follow Us

কলকাতা: পর্ণশ্রী জোড়া খুনের (Behala Murder) ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিহত মহিলার দুই মাসতুতো দাদাকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। এবার মা ও ছেলেকে খুনের পর যে ব্যাগে করে ধারাল ছুরিটি আততায়ীরা নিয়ে যায়, সেটিকে উদ্ধার করল পুলিশ। তবে যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে, তা এখনও উদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিহত সুস্মিতা মণ্ডলের ছেলে নিহত তমোজিৎ মণ্ডল অনলাইন ক্লাস করছিল, সেই মোবাইলটিও উদ্ধার করল পুলিশ। এই মোবাইল ফোন থেকে নতুন কোনও সূত্র মেলে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গত ৬ সেপ্টেম্বর বেহালা পর্ণশ্রীর (Parnashree) সেনপল্লির এক আবাসন থেকে মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ঘটনার দিন দুপুরে সুস্মিতাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর দুই মাসতুতো ভাই সঞ্জয় দাস ও সন্দীপ দাস। ঘটনার দিন বেলা ১২টা নাগাদ বোনের বাড়িতে যান তাঁরা। বোনের সঙ্গে নানা বিষয়ে গল্পও করেন। এরপরই বোন দুই দাদাকে চা ও কেক খেতে দেন।

এদিকে মামারা যখন বাড়িতে আসেন, তখন বছর তেরোর তমোজিতের অনলাইন ক্লাস চলছিল। পাশের ঘরেই ছিল সে। ছেলের ক্লাসে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে কারণে ঘরের দরজা ভেজিয়ে দেন সুস্মিতা। পুলিশের দাবি, এরই মধ্যে দাদাদের খেতে দেন বোন। খাবার সময় নানা বিষয়ে কথা বলে সুস্মিতাকে অন্যমনস্ক করে দেন সঞ্জয় ও সন্দীপ। এর পরই ধারাল ছুরি দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।

এদিকে মায়ের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ছেলে। ছেলে সবটা দেখে ফেলায় তাকেও সরিয়ে দেওয়া হয় বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল খুব পরিচিত কেউই এই ঘটনায় যুক্ত। সুস্মিতার স্বামী তপন মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছিলেন, দরজার আইহোলে পরিচিত কোনও মুখ না দেখলে তাঁর স্ত্রী দরজা খুলতেন না। এরপরই নানা তথ্য প্রমাণ-সহযোগে পুলিশ মণ্ডল পরিবারের সন্দেহভাজন পরিচিতদের একটি তালিকা তৈরি করে।

সেই তালিকায় নাম ছিল বজবজ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়ালপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় দাস ও তাঁর ভাই সন্দীপ দাসের। যেদিন পুলিশ তাঁদের বাড়িতে যান, দেখেন মদ, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন সহযোগে এলাহি পার্টি চলছে বাড়িতে। তাতেই আরও বেশি করে খটকা লাগে পুলিশের। এর পর জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি থাকায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তমোজিতের যে মোবাইলটি পুলিশের হাতে এসেছে, জানা গিয়েছে সেটি সরিয়ে রাখা হয়েছিল। সুস্মিতার দুই ভাই সেটি সরিয়ে ফেলেন বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। মোবাইল ফোনে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা সামনে এলে সন্দীপ, সঞ্জয়রা বিপদে পড়তে পারেন বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। যদিও সেনপল্লি এলাকা থেকেই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে।

পাশাপাশি যে বাইকে চেপে দুই ভাই সুস্মিতার বাড়িতে এসেছিলেন, সেই বাইক ও হেলমেটও ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি সেখানে কোনও রক্তের দাগ বা অন্য কোনও সূত্র পাওয়া যায়। অন্যদিকে যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছিল, তা এখনও উদ্ধার না হলেও সেই ধারাল অস্ত্র যে ব্যাগে  করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই ব্যাগটি পাওয়া গিয়েছে। তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে রেশন’ কিছুতেই চলতে দেবে না, এবার ডিভিশন বেঞ্চে ডিলারদের একাংশ

Next Article