কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড ও দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার সরব বিজেপি। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই শাসকদলকে বিঁধে চলেছে বিজেপি নেতারা। দেবাঞ্জনকাণ্ড মানেই তার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতা পুরসভার নাম। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী, বার বারই বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভা সমস্ত কিছু জানত। বৃহস্পতিবারও শুভেন্দু দাবি করেন, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের সঙ্গে পুরসভার প্রশাসকের যোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতা পুরসভার কোনও গোয়েন্দা শাখা নেই যে তারা তদন্ত করবে। কেউ সিবিআই সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও সেটা ধরতে পারছে না। তা হলে কলকাতা পুরসভা কী ভাবে সেই কাজ করবে।
এদিন বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তোলেন, “শাসকদলের তৈরি করা ভুয়ো দেবাঞ্জনকাণ্ড। এর সঙ্গে কলকাতা পুরসভা সরাসরি যুক্ত। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক থেকে একাধিক বিধায়ক, আইপিএস, জনপ্রতিনিধি, আধিকারিক, ছোট-বড় নেতা সকলে যুক্ত। এটা ইতিমধ্যে প্রমাণিতও।”
আরও পড়ুন: ‘আমার ছেলে আছে, অথচ আমাকে কেউ খাওয়ায় না বাবা!’, পান্তা, আলু ভাতে, শাক সেদ্ধ খেয়ে দিন কাটে বৃদ্ধার
তারই জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতা পুরসভার কোনও নিজস্ব গোয়েন্দা শাখা নেই। পুরসভা গোয়েন্দাগিরি করে না। পুরসভা পুলিশের কাজ করে না। মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দেয়। রাস্তা পরিষ্কার করা, নিকাশের কাজ করা, কর মূল্যায়নের কাজ করে। যারা গোয়েন্দার কাজ করে সেই সিবিআই যখন নিজেদের ভুয়ো আধিকারিক অফিসারকে ধরতে পারছে না, তাহলে কলকাতা পুরসভা কী ভাবে এত বড় শহরের মধ্যে এই ভুয়া ভ্যাকসিন বা সেটা যে সংগঠিত করছে তাকে ধরবে। সিবিআই-এর ভিতরে থেকে কেউ ভুয়ো আধিকারিক সেজে বিদেশ চলে যাচ্ছে, গোয়েন্দাগিরি করছে, সেটাই ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার কি সেই ক্ষমতা রয়েছে? বিরোধী দলনেতার এগুলো আগে জানা উচিত। পুরসভা কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়।”