AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমার ছেলে আছে, অথচ আমাকে কেউ খাওয়ায় না বাবা!’, পান্তা, আলু ভাতে, শাক সেদ্ধ খেয়ে দিন কাটে বৃদ্ধার

Maldah: আশা করেছিলেন একমাত্র ছেলে তাঁকে নিয়ে থাকবেন। কিন্তু বিয়ে হতেই মায়ের সব সম্পত্তি নিজের নামে করে নেয় বলে অভিযোগ।

'আমার ছেলে আছে, অথচ আমাকে কেউ খাওয়ায় না বাবা!', পান্তা, আলু ভাতে, শাক সেদ্ধ খেয়ে দিন কাটে বৃদ্ধার
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2021 | 1:26 AM
Share

মালদহ: করোনা আক্রান্ত মাকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে ছেলে। পালানোর সময় নিয়ে গিয়েছে মায়ের যৎসামান্য যা সম্বল ছিল। কোনও মতে আলু ভাতে আর শাক সেদ্ধ খেয়ে দিন গুজরান। হৃদয় বিদারক এই ঘটনা মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের।

২০ বছর আগে তহমিনা বেওয়ার স্বামী মারা গিয়েছেন। তিন মেয়ে, এক ছেলেকে বড় করেছেন একাই। কিন্তু মায়ের বয়স বাড়তেই একে একে সরে পড়েছেন ছেলে-মেয়েরা। কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। রোগের ভয়েই ছেলে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে সমস্ত টাকা পয়সা। এখন একাকী দিন কাটে বৃদ্ধার। আলু ভাতে আর শাক সেদ্ধ! এটুকুই কপালে জোটে। ছেলে মেয়েকে সবকিছু দিয়েছেন। কিন্তু পেলেন কী?

তহমিনা বলেন, “ছেলে মেয়েগুলোকে সম্পত্তি দিয়ে দিয়েছি । আমাকে কেউ খাওয়ায়ও না। আমি একাই হাত পুড়িয়ে রান্না করে খাচ্ছি। কেউ দেখারও নেই।” এমনকী গাঁয়ের যে মাতব্বররা কথায় কথায় তেড়ে আসেন, এখন তারাও পিঠ দেখাচ্ছেন। স্থানীয় মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতে ছেলের কীর্তি নিয়ে সালিশি সভা বসেছিল। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।

আরও পড়ুন: বরাকরকাণ্ডে আরও তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড, বরখাস্ত পাঁচ সিভিক ভলান্টিয়ারও

তহমিনার কথায়, “আমি ওদের বললাম আমার কী ভাবে সংসার চলবে? আমার ভাতাটা অন্তত করে দিক। জমিজমা সব তো সন্তানদের লিখে দিয়েছি।” এখন কপালে শুকনো মুড়ি, শাকপাতা আর পান্তা। প্রতিবেশীরা মাঝে মাঝে কিছু খাবার দেন। এ ভাবেই একাকী বৃদ্ধারর দিন গুজরান। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী মারা গেলেও এখনও ব্যবস্থা হয়নি বিধবা ভাতার। আশা করেছিলেন একমাত্র ছেলে তাঁকে নিয়ে থাকবেন। কিন্তু বিয়ে হতেই মায়ের সব সম্পত্তি নিজের নামে করে নেয় বলে অভিযোগ। তিন মেয়েও জমির ভাগ পাওয়ার পর আর খোঁজ রাখে না মায়ের। আক্ষেপের সুর বৃদ্ধার গলায়।