AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPIM-Congress: সিপিএম শূন্য, কংগ্রেস ১; তবু ‘খেলে’ দিল অন্য ‘খেলা’

Bengal Politics: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলাফলে দ্বিমুখী লড়াইয়েরই প্রতিফলন। তৃণমূল বনাম বিজেপি। দাগই কাটতে পারল না কংগ্রেস, বাম। একমাত্র মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম 'সেকেন্ড বয়' হয়ে দাগ কাটলেন। গণনার রাত অবধি যা খবর, তাতে প্রায় ৩৩ লক্ষের মতো ভোট পেয়েছে সিপিআইএম। তার মধ্যে সেলিমেরই প্রাপ্তি ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ভোট।

CPIM-Congress: সিপিএম শূন্য, কংগ্রেস ১; তবু 'খেলে' দিল অন্য 'খেলা'
বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেদের প্রার্থী ঘোষণা
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2024 | 11:07 AM
Share

কলকাতা: বাংলার লোকসভা ভোটে দাগই কাটতে পারল না কংগ্রেস, সিপিএম। কংগ্রেস তাও মালদহ দক্ষিণের আসন ধরে রাখতে পেরেছে। ডালুবাবুর ছেলে ঈশা খান চৌধুরী মান রেখেছেন। তবু গত ভোটের ২ থেকে নেমে এবার মাত্র ১টিই ভরসা। কিন্তু সিপিএম যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। তবে প্রশ্ন উঠছে, নিজেদের নাক কেটে হলেও তৃণমূলের যাত্রা কিছুটা কি ভঙ্গ করতে সফল হল বাম-কংগ্রেস?

২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলাফলে দ্বিমুখী লড়াইয়েরই প্রতিফলন। তৃণমূল বনাম বিজেপি। দাগই কাটতে পারল না কংগ্রেস, বাম। একমাত্র মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম ‘সেকেন্ড বয়’ হয়ে দাগ কাটলেন। গণনার রাত অবধি যা খবর, তাতে প্রায় ৩৩ লক্ষের মতো ভোট পেয়েছে সিপিআইএম। তার মধ্যে সেলিমেরই প্রাপ্তি ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ভোট।

এবার একাধিক তরুণ মুখে ভরসা রেখেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে যাদবপুরের সৃজন ভট্টাচার্য বা শ্রীরামপুরের দীপ্সিতা ধর, ডায়মন্ড হারবারের প্রতীক-উর-রহমানরা কেউই বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি।

বরং বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, বারাসত কেন্দ্রে বামেদের পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আইএসএফ। বিন্দুমাত্র ছাপ ফেলতে পারেননি বসিরহাটের সিপিএম প্রার্থী নিরাপদ সর্দার।

মহম্মদ সেলিমও মেনে নিয়েছেন, “হয় কাঁধটা আমাদের অতটা চওড়া নয়। না হলে যতটা বোঝা আমাদের কাঁধে মানুষ দেবে ভেবেছিলাম, ততটা বোঝা দেননি। বা আমাদের কাঁধের উপর পুরোটা ভরসা করতে পারেননি। অনেক কিছুই হতে পারে। আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসবে। দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।”

বাম-কংগ্রেস নিজেদের ঘর গোছাতে না পারলেও তৃণমূলের পথে কাঁটা কিছুটা বিছিয়ে দিয়েছে। নাহলে রায়গঞ্জে ৬৭ হাজার ভোটে হেরেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ২ লক্ষ ৬২ হাজার ভোট কেটেছেন কংগ্রেসের আলি ইমরান রামজ।

অন্যদিকে মালদহ উত্তরে ৭৬ হাজার ভোটে হেরেছেন তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আসনেই ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ভোট কেটেছেন কংগ্রেসের আলম মোস্তাক।

প্রচারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রার্থীর নাম করেই বলেছিলেন, “আপনাদের এখানে কংগ্রেসের যিনি দাঁড়িয়েছেন, ইনি বিজেপির চোখ। আর সিপিএমের চোখ। এরা ভোটে দাঁড়িয়েছে, জানে জিতছে না। তবু মুসলিমদের মধ্যে ভোটটা কাটাকাটি করে বিজেপিকে জিতিয়ে দেওয়া যায়।”

ভোটের বিপুল জয়ের পর মঙ্গলবারও মমতা বাম, কংগ্রেস, আইএসএফকে এক বন্ধনীতে এনে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, “বিজেপিকে সাপোর্ট দেয় এখানকার কংগ্রেস ও সিপিএম। আর একটা মুসলিম পার্টি জন্মেছে। তাদের বলব নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করবেন না। উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির এই সিটটা বাড়িয়ে কী লাভ হল? বিজেপির এই সিটটা কমলে তো দু’টো ভোট মাইনাস হতো বিজেপির।”