কলকাতা: ‘গতকাল রাজ্য সম্পাদক কমরেড মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন আমাদের জেলার সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্যকে তদন্ত সাপেক্ষে যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্য পার্টির স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’ সূত্রের খবর, সিপিআইএমের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা গ্রুপে এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে। পাঠিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএম সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই মেসেজের স্ক্রিনশট বাইরে এসেছে। সোজা কথায়, সাসপেনশন উঠে যাচ্ছে তন্ময় ভট্টাচার্যের উপর থেকে। তা নিয়েই এবার নতুন চর্চা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তাঁর দাবি, তিনি যখন তন্ময়ের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন তখন আচমকা তিনি তাঁর কোলে বসে পড়েন। এই অভিযোগ সামনে আসতেই তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়ে যায় বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। ঘটনা সামনে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তন্ময়কে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় দল। অভিযোগ দায়ের হতে ডেকে পাঠায় পুলিশ। দলের অন্দরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি।
যদিও নিজের বক্তব্য বারবারই সামনে রেখেছিলেন তন্ময়। একইসঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত নিয়েও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল হতাশার সুর। স্পষ্ট বলেছিলেন, “রাজ্য সম্পাদক হোয়াটসঅ্যাপে কিছু জানতে চেয়েছিলেন। আমি জানিয়েছিলাম। তারপরও এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের পরিবার বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। আমি মাথা উঁচু করে বামপন্থার সঙ্গে ছিলাম। মাথা উঁচু করেই থাকব।” তাঁর আরও দাবি ছিল, “যদি কেউ মনে করেন, আমাকে হেনস্থা করে আমার রাজনৈতিক আদর্শ থেকে বিদ্যুত করতে পারবেন, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।”
যদিও এদিনের খবরের পর খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেলিমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “তাহলে সিপিএম বিশ্বাস করে কোলে বসেনি না হলে স্নেহ করে কোলে বসেছিল। এটা তো দ্বিচারিতা সেলিম দা। আপনারা সিবিআইয়ের বিরোধিতা করবেন আবার একই ধরনের ঘটনায় কোলে বসার আলাদা ব্যাখ্যা দেবেন কী করে হবে সেলিম দা!”