CPIM Digital Campaign: ‘দুর্নীতির বর্ণপরিচয়’ বার করল বাম, এক হাত নিলেন দেবাংশু
CPIM: ঘোষিত সময় অনুযায়ী শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন। আর এক ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে টুইটার ট্রেন্ডিং তালিকায় এক নম্বরে পৌঁছে গিয়েছে বামেদের তৈরি এই হ্যাশট্যাগ।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘চোর টিএমসি হ্যাশট্যাগকে সামনে রেখে বামপন্থীরা ও সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষজন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন। তৃণমূলের স্বরূপ বাংলার মানুষের সামনে প্রত্যেকদিন নতুন নতুনভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে। বালি, চাকরি, শিক্ষা, আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ… সবক্ষেত্রেই তৃণমূলের গত ১২ বছরের শাসনকালে দুর্নীতি হয়েছে।’
বিগত কয়েকদিনে তৃণমূল শিবির থেকে যে টানা আক্রমণ শানানো হয়েছে বামেদের বিরুদ্ধে, সেই কথাও উঠে আসে সৃজনের কথায়। সম্প্রতি কখনও সুজন চক্রবর্তী, কখনও শতরূপ ঘোষকে নিশানা করা হয়েছে। এসএফআই রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা নিজেদের ‘অপকর্ম’ ঢাকার জন্য বাজার গরম করার জন্য এইসব কথা বলছেন। বলছেন, ‘তৃণমূল যাতে মূল বিষয় থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে না পারে, সেই কারণেই এই প্রচার কর্মসূচি এবং সেই সঙ্গে একটি ই-মেল আইডিও প্রকাশ করা হয়েছে।’
যদিও বামেদের এই ডিজিটাল প্রচার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল শিবির। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এটাকে বলে দেখে শেখা। নিজের মাথায় কিছু নেই, অন্যের দেখে শেখা। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, হাজার হাজার শহিদের রক্ত দিয়ে বাংলাকে আমরা আর একবার স্বাধীন করেছিলাম সিপিএমের হাত থেকে। আমরা মানুষের সেবা করতে এসেছি।’
খোঁচা দিচ্ছেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যও। তাঁরও বক্তব্য, তৃণমূলের কর্মসূচিতে হুবহু নকল করছে সিপিএম। বললেন, ‘মাথায় ঘিলু না থাকলে যা হয়… লোকের নকল করে চালাতে হয়। বিধানসভায় আমাদের খেলা হবে স্লোগানকেও বাম-কংগ্রেস নিজেদের মতো করে তৈরি করেছিল। তৃণমূলের সময় কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো আইনজীবীরা আছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সিপিএম-এর বিষয়ে কিছু বেরিয়ে এলে তো বিকাশরঞ্জনবাবু সেগুলি নিয়ে লড়বেন না, তাই আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছি। সিপিএম স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়েছে, তাই কপি করছে।’