কলকাতা: আরজি কর আন্দোলনে কিছুটা হলেও দৃশ্যমান সিপিএম। প্রায় ২ মাস ধরে চলা আন্দোলনের পর এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিধানসভায় ‘শূন্য’ পাওয়ার কলঙ্ক ঘোচেনি এখনও। কথায় কথায় কটাক্ষ করতে পিছপা হন না বিরোধীরা। তবে রাজনীতির কারবারিদের মতে, আন্দোলনের আবহে সিপিএমের অস্তিত্ব বেশ বোঝা যাচ্ছে। পতাকা থাক বা না থাক, সিপিএম যে ময়দানে আছে, তা একরকম স্পষ্ট। আপাতত এভাবেই লড়াইতে থাকতে চায় সিপিএম।
পতাকা ছাড়া হলেও নাগরিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে সিপিএম। দলের বিভিন্ন স্তরে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে বামেদের। তাই আন্দোলনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এবার বই প্রকাশ করছে সিপিএম। বইয়ের নাম ‘বিচার চাই’। বইটির সম্পাদনা করেছেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সৃজন ভট্টাচার্য।
পুজোর সময় যে সব বইয়ের স্টল সিপিএমের থাকবে, সেখানে এই আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবি সংক্রান্ত বইটি রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। আবার দলের যুব সংগঠনের মুখপত্র ‘যুবশক্তি’ শারদ সংখ্যারও উদ্বোধন হবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। ছাত্র সংগঠন এসএফআই শারদ সংখ্যায় ‘তিলোত্তমা’র জন্য আম নাগরিকের কাছে থেকে লেখা সংগ্রহ করেছে সিপিএম।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই আন্দোলন সিপিএম-কে দৃশ্যমান করেছে। তাঁর কথায়, “ঘরছাড়া, সন্ত্রাসে আক্রান্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আমরা যখন লাল পতাকা নিয়ে কর্মসূচি করেছি, তখন বলা হয়েছিল দূরবীনেও দেখা যাচ্ছে না। দূরবীনে যাঁরা দেখতে পাননি, তাঁরাই এখন আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে, সবকিছুর পিছনে সিপিএম-কে দেখতে পাচ্ছেন। পতাকা না থাকলেও দেখতে পাচ্ছেন!”
রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই দৃশ্যমানতা যত দিন ধরে রাখা যায়, তার প্রয়াস করছে বামেরা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন রাজ্য রাজনীতিতে কিছুটা প্রাসঙ্গিক করেছে সিপিএমকে। তবে তা ভোট বাক্সে বামেদের কতটা লাভবান করবে, তা নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি।
তবে এভাবে আন্দোলন ধরে রাখতে পারলে সিপিএম যে লাভবান হবেই, তেমনটাই মনে করছেন বামেরা। তাই দৃশ্যমানতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের বিভিন্ন স্তরের শারদ সংখ্যার পাশপাশি এভাবে আলাদা করে বই প্রকাশ করছে সিপিএম।