CPM-Congress: বিধানসভায় খাতা খুলতে মরিয়া CPM, উপভোটেও লড়বে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে
CPM-Congress: সদ্য ফলপ্রকাশ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। সেখানে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। মালদহ দক্ষিণে ঈশা খান চৌধুরী জিতে কংগ্রেসের মুখ রক্ষা করতে পারলেও বামেরা এবারও খুলতে পারেনি খাতা। এই পরিস্থিতিতেই আগামী মাসে রয়েছে কয়েকটি বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন।

কলকাতা: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচনে লড়াই করবে সিপিএম। বাম শিবির সূত্রে খবর, আপাতত জোট এখনই ভাঙতে চাইছে না কোনও পক্ষই। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মানিকতলা ও বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে সিপিএম। অন্যদিকে, রায়গঞ্জে লড়বে কংগ্রেস। আর রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় যদি কংগ্রেস লড়তে চায় তাহলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই সিপিএম সূত্রে খবর।
সদ্য ফলপ্রকাশ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। সেখানে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। মালদহ দক্ষিণে ঈশা খান চৌধুরী জিতে কংগ্রেসের মুখ রক্ষা করতে পারলেও বামেরা এবারও খুলতে পারেনি খাতা। এই পরিস্থিতিতেই আগামী মাসে রয়েছে কয়েকটি বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন। আর সেই উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেই হাঁটতে চাইছে বামেরা বলে সূত্রের খবর।
আগামী ১৪ জুন বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। সেখানে এই বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে । কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্বের মধ্যে আপাতত চার আসনের ভাগাভাগি এমন ভাবেই হয়েছে বলে খবর। জোট এখনই ভাঙতে চান না কোনও পক্ষই। বরং লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হলেও বিধানসভা উপনির্বাচনে যত বেশি সম্ভব ভোট ঝুলিতে আনাই মূল লক্ষ্য কংগ্রেস ও সিপিএম-এর। এর কারণ হিসাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন আসন না পেলেও বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের দিকে নজর দিলেই দেখা যাবে জোটের ফল তুলনামূলকভাবে ভাল। রানিনগরে সিপিএম ১টি ও কংগ্রেস প্রায় ১১টি আসনে লিড করছে। সেই কারণেই কি এককভাবে লড়তে চাইছেন না বাম নেতৃত্ব? প্রশ্ন থাকছেই। তবে সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষেত্রে তরুণ আর স্বচ্ছ মুখেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
তবে লাখ টাকা প্রশ্ন এই জোটে আইএস এফ সামিল হবে কি না।যদিও প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছেন আইএসএফ নেতৃত্ব। নওশাদ সিদ্দিকি আগেই জানিয়েছেন, কংগ্রেস ও সিপিআইএমের সঙ্গে আত্মসম্মান বিকিয়ে নয় জোট করবে না। ফলে রাজনীতির কারবারিদের মতে, এক্ষেত্রেও হয়ত আইএসএফ একলা চলবে।





