
কলকাতা: শাস্ত্রমতে শুরু হয়েছে দেবীর বোধন। আজ মহাষষ্ঠী (Maha Sasthi)। আর বোধন হতেই কলকাতার নানা প্রান্তে ঠাকুর দেখার ঢল নজরে পড়ছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মহাষষ্ঠীর সন্ধেয় ভিড় বাড়ছে শ্রীভূমি, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, আহিরীটোলা যুবকবৃন্দ, হাতিবাগান সর্বজনীন, ত্রিধারা থেকে শুরু করে সুরুচি সঙ্ঘে। বৃষ্টি হবে নাকি হবে না, এসব কথা দর্শনার্থীরা এই মুহূর্তে আর ভাবছেনই না। সক্কলের একটাই টার্গেট, বৃষ্টি পুজোর আনন্দ মাটি করার আগে যতগুলো সম্ভব মণ্ডপে পৌঁছে ঠাকুর দেখে নেওয়া।
শারদীয়ার আনন্দে বাংলা মাতোয়ারা। উত্তর-দক্ষিণে তারই ছাপ দেখা গিয়েছে মহাষষ্ঠীর সন্ধেতে। সকাল থেকেই পায়ে পায়ে প্যান্ডেল হপিংয়ে কমবেশি সকলেই বেরিয়ে পড়েছেন। কেউ আবার সারারাত ঠাকুর দেখার প্ল্যানও করেছেন। দর্শনার্থীরা কখনও যাচ্ছেন হিন্দুস্থান পার্কে, কখনও আবার তাঁরা ভিড় জমাচ্ছেন একডালিয়া এভারগ্রিন, শ্রীভূমিতে। প্রতি বছরের মতো থিমে শ্রীভূমি একাধিক মণ্ডপকে টেক্কা দিচ্ছে। এ বার সেখানে হয়েছে নিউ জার্সির অক্ষরধাম। অবশ্য ভিড় টানার দৌড়ে পিছিয়ে নেই টালা প্রত্যয়ও। অন্য বছরের মতো এ বারও তাঁদের থিম ‘বীজঅঙ্গন’ সেরার তালিকায় থাকার মতো।
কলকাতার পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। (নিজস্ব চিত্র)
ষষ্ঠীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু ‘কুছ পরোয়া নেহি…’, ঠিক এই স্টাইলেই আট থেকে আশি মা দুর্গার দর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন। কলকাতায় এ বছরের দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। পুজো শুরু হওয়ার আগে থেকেই সেখানকার থিম ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। আর আলোচনা হবে নাই বা কেন, সেখানে যে ‘অপারেশন সিদুঁর’ থিমে পুজো হচ্ছে। পুজো যে সেখানে খুব নির্বিঘ্নে হচ্ছে, তেমনটা নয়। কারণ সজল ঘোষ ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন, সাধারণ মানুষকে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সজল পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন। দাবি তোলেন, ‘এরকম চলতে থাকলে আমরা পুজো বন্ধ করে দেব।’ যত বিবাদ, বিতর্কই হোক না সজল ঘোষের পুজো নিয়ে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে কিন্তু ভিড় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
দেবীর বোধন হতেই কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে জনজোয়ার। (নিজস্ব চিত্র)
মহাষষ্ঠীর দিন কলকাতায় যেমন ভিড় দেখা যাচ্ছে, তেমনই জেলার পুজোতেও ভিড় চোখে পড়ার মতো। রাত যত বাড়বে, কলকাতার মতোই জেলার পুজোগুলিতেও ভিড় আরও অনেকটাই বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।