NIA: পাকচর খুঁজতে কলকাতায় এবার NIA, আলিপুর-মোমিনপুরে জোর তল্লাশি
NIA: জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড-হারবার রোডের একটি ট্যুর এবং ট্রাভেলসের দোকানে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ওই দোকানের মালিক বলেন, "আজ সকালে দোকান খুলতেই দেখি NIA-র কুড়ি থেকে পঁচিশ জনের একটি দল আসে।"

কলকাতা: দেশের প্রায় পনেরো জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে NIA। পাক গুপ্তচর সন্দেহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার চলছে তল্লাশি। তার মধ্যে এ রাজ্যেরও তিন জায়গা রয়েছে।
সম্প্রতি, পাক-গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাট গ্রেফতার হয়েছেন। লাগাতার তাঁকে জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যেই দেশের পনেরো জায়াগায় হানা দিয়েছে NIA। তার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের নামও। কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই পার্ক সার্কাস, মোমিনপুর, একবালপুরে তল্লাশি চালাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড-হারবার রোডের একটি ট্যুর এবং ট্রাভেলসের দোকানে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ওই দোকানের মালিক বলেন, “আজ সকালে দোকান খুলতেই দেখি NIA-র কুড়ি থেকে পঁচিশ জনের একটি দল আসে। আমায় আইডি কার্ড দেখিয়ে বলে আমরা তল্লাশি করব। এরপর আমার মোবাইল নিয়ে নেয়। আমার দোকানে মোবাইল ঘেঁটে দেখেন। তারপর বললেন, পাঁচ হাজার টাকার নাকি ট্রানজাকশন হয়েছে। আমরা টাকাও ট্রান্সফার করি। থার্ড পার্টি অ্যাপস দিয়ে করি। শুনছি এই টাকা নাকি পাকিস্তান গেছে। গ্রাহক আমাদের টাকা ট্রানজাকশন করতে বলে। আমরা করে দিই। এরপর সোমবার আমায় এনআইএ দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কিছুদিন আগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে হিসার থেকে গ্রেফতার করা হয়ে। তারপর আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে তাঁদের ধরা হয়। এই আবহের মধ্যে সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটকে পাকড়াও করে NIA। ২০২৩ সাল থেকে ওই জওয়ান পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন বলে NIA জানিয়েছে।

