Diamond Harbour: কান্নায় ভেঙে পড়লেন তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গীত শিল্পী, বুঝেই উঠতে পারছেন না কিছু…
Nodakhali: নোদাখালি থানায় ছোটেন তিনি। সেখান থেকেই সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। ৫ তারিখ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করার পর ১৮ তারিখ এফআইআর করেন। কল্যাণ জানান, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের অফিস ও মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বাড়িতে ১৩ বছরের মেয়ে। বৃদ্ধ মা, স্ত্রী রয়েছেন। কল্যাণ দাস বলেন, সবটাই তো চলে গেল।
কলকাতা: ওৎ পেতে রয়েছে প্রতারকরা। একটু অসাবধান হলেই সর্বনাশ ঘটতে পারে যখন তখন। বাড়ি বাড়ি ফোন আসছে, ‘বকেয়া ইলেকট্রিক বিল মেটান’। বলা হচ্ছে, পরদিনই না হলে লাইন কেটে দেওয়া হবে। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পানিহাটির বিধায়কের প্রাক্তন রক্ষীর পর এবার জমানো টাকা খোয়ালেন এক সঙ্গীত শিল্পী। নোদাখালিতে ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন ওই শিল্পী। প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খুইয়ে কপালে হাত তাঁর। ভেঙে পড়েছেন কান্নায়।
বজবজ-২ ব্লকের নোদাখালি থানা এলাকার রায়পুরের বাসিন্দা কল্যাণ দাস। পেশায় একজন সঙ্গীত শিল্পী তিনি। বিভিন্ন সঙ্গীত মেলায় গান করেন তিনি। এছাড়াও নানা মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সেই কল্যাণ দাসের অভিযোগ, “গত ৪ নভেম্বর একটা ফোন আসে। বলে ইলেকট্রিক বিল না দিলে লাইন কেটে দেবে। এদিন রাতের দিকে একটা এসএমএস আসে। আগামিকাল ডিসকানেক্ট হয়ে যাবে লেখা ছিল। পরদিন গান শেখাচ্ছি। হঠাৎ মনে পড়ল ইলেকট্রিক বিলটা দিতে হবে, না হলে তো লাইন কেটে দেবে। আমার তখন আবার ৩ মাসের একটা বিল বাকিও ছিল। তাই আর কোনও সন্দেহও হয়নি। এমনকী ট্রু কলারেও নাম উঠেছিল ইলেকট্রিক অফিস লেখা।”
এরপরই নম্বরটিতে ফোন করে যোগাযোগ করেন কল্যাণ। তাঁকে একটি অ্যাপ নামাতে বলা হয় মোবাইল ফোনে। অ্যাপ নামানোর পর পরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে টাকা উধাও হতে শুরু করে তাঁর। প্রথমে ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা এবং পরে তাঁর দু’টি ফিক্সড ডিপোজিট থেকে দেড় লক্ষ ও ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা ডেবিট হয়। ৮ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।
নোদাখালি থানায় ছোটেন তিনি। সেখান থেকেই সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। ৫ তারিখ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করার পর ১৮ তারিখ এফআইআর করেন। কল্যাণ জানান, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের অফিস ও মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বাড়িতে ১৩ বছরের মেয়ে। বৃদ্ধ মা, স্ত্রী রয়েছেন। কল্যাণ দাস বলেন, সবটাই তো চলে গেল। অসহায়তায় চোখে জল স্ত্রীরও।