
কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট চাওয়ার পরেই বদলে গেল সংখ্যা। রাতারাতি ভোটার মরল ১ হাজার ৭২৮টি বুথে ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ, ২ হাজার ২০৮ নয়, মৃত ভোটার মেলেনি ৪৮০টি বুথে। নির্বাচন কমিশনকে এমনই রিপোর্ট দিল জেলা প্রশাসন।
সোমবার প্রকাশ্যে এসেছিল, রাজ্যে ২ হাজারের বেশি বুথে মেলেইনি মৃত ভোটার। এর মধ্যে রয়েছে ২২ জেলা। আর সবার প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেই জেলার ৭৬০টি বুথে মেলেনি কোনও মৃত ভোটার। অর্থাৎ যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের কি নাম কাটানো হয়নি? উঠছিল প্রশ্ন। এরপর কমিশন জেলা শাসকদের কাছ থেকে এই রিপোর্ট চায় কমিশন। আর তারপরই দেখা গেল বদল। ২ হাজার ২০৮ বুথ নয়, সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৪৮০। অর্থাৎ মৃত ভোটার মেলেনি এই ৪৮০টি বুথে। নতুন তালিকা অনুযায়ী, মৃত্যু শূন্য বুথ সব থেকে বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। রায়দিঘি ৬৬, কুলপি ৫৮, মগরাহাট ১৫, পাথরপ্রতিমা ২০।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একে বলে হাতে নাতে ধরা পড়া। আজকে শুনলাম বিডিওরা বলছেন বিএলওরা তাঁদের বলেছেন, মৃত, অনুপস্থিত-স্থানান্তরিত তাঁদের রেজিস্ট্রার আপলোড করেননি তাই এমন হচ্ছে। এগুলি নাকি বেছে রেখেছিল পরে আপলোড করবে বলে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এদের সকলের এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করা হয়েছিল, যেই কমিশন ধরেছে অমনি ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে গেল।” তন্ময় ঘোষ বলেন, “এটা তো কমিশনের কাজ। কালকে কোথা থেকে ২, ২০৮ তথ্য দিয়েছিলেন? আর আজ এই ৪৮০ তথ্য দিচ্ছেন জানি না।”