Election Commission: রাজ্যের ২২০৮ বুথে নেই কোনও মৃত ভোটার, তালিকায় সবার উপরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাইশ জেলার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেই জেলার ৭৬০টি বুথে মেলেনি কোনও মৃত ভোটার। অর্থাৎ যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের কি নাম কাটানো হয়নি? উঠছে প্রশ্ন। এখানেই শেষ নয়, ফর্ম নেননি ফেরত এসেছে এমনও কেউ নেই এই বুথগুলিতে। আবার কেউ ঠিকানাও বদল করেননি এমনও বিষয় সামনে আসেছে।

কলকাতা: শ্বশুরকে বাবা বানানোর অভিযোগ, কাকাকে বাবা বানানোর অভিযোগ! এসআইআর আবহে এমন গুচ্ছ-গুচ্ছ খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছে। তবে এবার আরও এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য এল প্রকাশ্যে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে ২ হাজারের বেশি বুথে মেলেইনি মৃত ভোটার। এর মধ্যে রয়েছে ২২ জেলা। এই ২২ জেলার ২ হাজার ২০৮টি বুথে নেই কোনও মৃত ভোটার। রাজ্য এনুমারেশন ফর্ম যাচাইয়ের পরই উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তথ্য থেকে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন, তবে কি ২০০২ সালের পর ২০২৫ অবধি ওইসব বুথে কেউ মারা যাননি?
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাইশ জেলার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেই জেলার ৭৬০টি বুথে মেলেনি কোনও মৃত ভোটার। অর্থাৎ যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের কি নাম কাটানো হয়নি? উঠছে প্রশ্ন। এখানেই শেষ নয়, ফর্ম নেননি ফেরত এসেছে এমনও কেউ নেই এই বুথগুলিতে। আবার কেউ ঠিকানাও বদল করেননি এমনও বিষয় সামনে আসেছে। আর গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনার এমন ৭৬০ বুথ খুঁজে পাওয়া গেছে যেখানে এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এরপর নাম রয়েছে পুরুলিয়ার। তারপর মুর্শিদাবাদ। এরপর রয়েছে মালদহ। তারপর নদিয়া। এই রকম ২২টি জেলা থেকে এমন তথ্য এসেছে।
এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই কমিশনের নজরে পড়েছে। কীভাবে এমন হল? জেলা শাসকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কেন একজনও মৃত মিলল না? সেটাই জানতে চাইবে কমিশন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “ওই জেলায় অমরত্ব মেলে। দ্রুত ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে যাচাই করা হোক। এই সব কিছু খতিয়ে দেখা হোক। নতুন করে এসআইআর করা হোক।” তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “আমি পুরো এসআইআর প্রক্রিয়াকেই অস্বাভাবিক বলি। আমরা প্রথম দিন থেকেই এটা বলছি। দুমাসের মধ্যে কে করতে বলেছিল?”
