
কলকাতা: ঘাটালে বন্যা। ডুবছে স্থানীয় মানুষজনদের ঘর-বাড়ি। স্কুল-পাঠশালা লাটে উঠেছে। দুর্গতদের ভরসা ত্রাণ। আর বন্যা হতেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করা হল না? সেই প্রশ্ন তুলে সাংসদকে ‘ঢপবাজ’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। অবশেষে এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ।
দেব নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রথমে লিখেছেন বন্যা হলে মানুষকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তাতে তাঁদের অভিমান হওয়াই স্বাভাবিক। সরকার যে দুর্গতদের পাশে রয়েছে সেই নিয়েও লিখেছেন তিনি।
কেন্দ্রকে কার্যত দুষে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন কার্যকত হয়নি সে কথা বলেন তৃণমূল নেতা। লেখেন, “বিগত দশ বছর ধরে লোকসভার সকল অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সপক্ষে সওয়াল করে এসেছি । অনেক চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। ২০২৪ সালে রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় এবং এক তৃতীয়াংশ বাজেট (৫০০কোটি) বরাদ্দ করে।” আর কতদিন এই প্রোজেক্ট তৈরি হতে সময় লাগবে? সেই নিয়েও জানিয়েছেন তিনি। দেব লেখেন, “ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কাজ শুরু হয়। এই মাস্টার প্ল্যানের। ৭৮ কিলোমিটার + ৫২ কিলোমিটার নদীর ড্রেজিং থেকে শুরু করে বাঁধ,ব্রিজ ,খাল কাটা,খালের সংস্করণ,কৃত্রিম নদী তৈরি করা,জমি অধিগ্রহণ সবই আছে। যার সময়সীমা কমপক্ষে ৪-৫ বছর।”
প্রতিবছরই বর্ষায় বন্যায় ডুবে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। ধসে যায় একের পর এক বাড়ি, তলিয়ে যায় আপনজন, গবাদী পশু থেকে সব….। বন্যার হাত ঘাটালবাসীকে উদ্ধারের জন্যই এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। পাঁচের দশকে প্রথবার সংসদে ঘাটালের বন্যার সমস্যার কথা তোলেন বাম সাংসদ নিকুঞ্জবিহারী চৌধুরী। এর পরই ঘাটালের বন্যা সমস্যা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব গৃহিতও হয়। এরপর শীলাবতী, ঝুমি থেকে বয়েছে জল। কিন্তু প্ল্যান-প্ল্যানই থেকেছে। কার্যকর হয়নি। এখন তৃণমূল আমল। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আদতে কবে কার্যকর হবে তারই প্রতীক্ষায় সকলে।