AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

High Court: জামিনের জন্য ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল পুলিশকে, ঢোলাহাট-কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি

High Court: রাজ্য় এদিন জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে যে মৃতের জন্ডিস ছিল। যে কারণে তাঁর ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। অভিযোগকারী কাকাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে রাজ্য। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

High Court: জামিনের জন্য ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল পুলিশকে, ঢোলাহাট-কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2024 | 1:52 PM

কলকাতা: জামিন নিশ্চিত করতে পুলিশকে দিতে হয়েছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ঢোলাহাটের নিহতের পরিবার। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। গত ৩০ জুন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

গত ৩ জুলাই রাত ৮ টা ৫ মিনিটে মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদার থানায় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরের দিন অর্থাৎ গত ৪ জুলাই ভোর ৩ টে ৪৫ মিনিটে হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। রাজ্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায়, কিন্তু বিচারক জামিন দেন। পরিবারের দাবি, এই জামিনের জন্য পুলিশকে লক্ষাধিক টাকা দিতে হয়েছে।

রাজ্য় এদিন জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে যে মৃতের জন্ডিস ছিল। যে কারণে তাঁর ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। অভিযোগকারী কাকাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে রাজ্য। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

আরও জানানো হয়েছে যে, গত ২৩ জুন থেকে থানার সিসিটিভি বিকল রয়েছে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ আদালতের বিচারককে এবং ওয়েবেল-কে জানানো হয়েছে। যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।