AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhabanipur By-Election: ‘এর চেয়ে আফগানিস্তান ভাল’, ভবানীপুরে ভোট প্রচারের শেষদিনে দিলীপের সভায় ধুন্ধুমার!

Dilip Ghosh In Bhabanipur: ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল যদুবাবুর বাজার এলাকায়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের সভায়। মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। আহত হলেন বেশ কয়েকজন। বাধা পেয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় সভা ছাড়তে হল দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংদের।

Bhabanipur By-Election: 'এর চেয়ে আফগানিস্তান ভাল', ভবানীপুরে ভোট প্রচারের শেষদিনে দিলীপের সভায় ধুন্ধুমার!
বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 1:41 PM
Share

কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) প্রচারের শেষ দিনে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল যদুবাবুর বাজার এলাকায়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সভায়। মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। আহত হলেন বেশ কয়েকজন। বাধা পেয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল ছাড়তে হল দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংদের।

অভিযোগ, এদিনের সভা শুরু হলে আচমকা গন্ডগোল শুরু হয়। দিলীপ ঘোষকে কোনওভাবেই সভা করতে দেওয়া হবে না বলে, কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন একটি টিকাকেন্দ্রের সামনে কয়েকজনকে নিয়ে উপস্থিত হন। তার পর শুরু হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। দিলীপবাবুর নিরাপত্তারক্ষীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের সামনেই চারজনকে মারা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপি কর্মীকে। মমতার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য শুনব না, এমনই দাবি করে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এর পর দিলীপ ঘোষ ও অর্জুন সিংদের কার্যত বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয় সভামঞ্চ। এদিকে শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ। দুই পক্ষের হাতাহাতিতে  ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। তৃণমূলীদের দাবি, তারা কোনওভাবে এখানে গেরুয়া শিবিীরকে সভা করতে দেবে না।

এদিকে বঙ্গ বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, “ভবানীপুরের যদুবাজারে বিজেপির নির্বাচনী পথসভায় তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনীর দ্বারা ফের রক্ত ঝড়লো বিজেপি কর্মকর্তাদের! নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুরের মানুষও ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোটবাক্সেই এই অন্যায়ের জবাব দেবে।”

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটারে লেখেন, “ভবানীপুরে বিজেপির ব্যাপক প্রচার তৃণমূলকেবিচলিত করেছে। আমাদের নেতাদের প্রচার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা কত জনকে থামাতে পারবে? বিজেপি নেতারা নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে আছেন। সব চেয়ে বড় কথা, জনসাধারণ সমর্থন রয়েছে।”

এদিনের সভায় ধন্ধুমার পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিলীপবাবু যখন প্রচারে গিয়েছেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ওরা জয় বাংলা স্লোগান দিক না, বাংলাদেশের স্লোগান হলে ওপত্তি নেই। আমরা খোল-কর্তাল বাজিয়ে দেব। কিন্তু বিরোধী নেতা বলে এমন আক্রমণ!” তাঁর অভিযোগ, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সুকান্তবাবুর কথায়, “এটা কেমন সংস্কৃতি! মমতা যখন দিল্লি যান, তাঁকে ঘিরে কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ বলেন? অভিষেকের সঙ্গে সংসদে দেখা হলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলি আমরা?” এপ পর তাঁর সংযুক্তি, ভবানীপুরে গুন্ডা, তালিবানি গুন্ডা নামিয়েছে তৃণমূল। বলেন, হয়ত বাংলাদেশ থেকেও আসতে পারে। এতে যাতে ভয় পেয়ে মানুষ ভোট না দিতে যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান এর চেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ দলদাস হয়ে গিয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা উচিত ছিল পুলিশের। যথেষ্ট বয়স হয়েছে দিলীপবাবুর। তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। তাঁর ওপর এমন আক্রমণ! আজই দিল্লি রওনা হচ্ছি। এসব নিয়ে বলব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। মানুষকে অনুরোধ করছি এই অপসংস্কৃতি শেষ করুন, মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

এ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেনন্দু অধিকারীর কটাক্ষ,  ভবানীপুরে তৃণমূল দাবি করেছিল এক লক্ষের বেশি ভোটে জয় পাবে। এখন বিজেপিকে ভয় পেয়ে আক্রমণ করছে। তাঁর কথায়, “সর্বস্তরে প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যেভাবে বারেবারে প্রার্থী এবং প্রচারক আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে প্রমাণ হচ্ছে তৃণমূল এবং তার মালিক অর্থাৎ, যিনি এখানে মালিক, ভয় পেয়েছেন।”

এদিকে তৃণমূলের তরফে ফিরহাদ হাকিম বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, প্রচারে আসতেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। মানুষ বিভাজনমূলক মন্তব্য মেনে নেয় না। তাই সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বাধাতে এমনটা ঘটেছে, বলে দাবি তাঁর।

আরও পড়ুন: Cyclone Amphan: আমফান দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট এবার নিজেই দেখবে মামলার গতিবিধি