Dilip Ghosh: ‘সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত’, হাওড়া ও বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্তে মত দিলীপের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 10, 2021 | 8:49 AM

Dilip Ghosh: তাঁর সংযোজন, "নির্বাচন এক সঙ্গে হোক আর আলাদাভাবে হোক, নির্বাচন আমরা লড়বই তার জন্য কলকাতা এবং হাওড়া কর্পোরেশন ইলেকশনের জন্য আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে।"

Dilip Ghosh: সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত, হাওড়া ও বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্তে মত দিলীপের
'খেলা হবে'র জবাব দিলীপের (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: ‘সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত।’ হাওড়া ও বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্তে মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মন্ত্রিসভার বৈঠকে হাওড়া-বালি পুরসভাকে পৃথক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে রাজ্য সরকার। পুর আইন সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব আনছে সরকার। ১৯ ডিসেম্বর ভোট হবে হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে। হাওড়ার সঙ্গে ভোট হবে না বালি পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডে।

বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, “সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই সিদ্ধান্ত। বালিকে আনাই বা কী ছিল। বালিকে ছাড়াই বা কী ছিল! হয়ত আগের চিন্তা ভাবনা ঠিক ছিল না। চিন্তাভাবনা না করেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন রাজনৈতিক লাভের জন্য। এখন দেখছে উল্টো হয়েছে তাই পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। এই যে খামখেয়ালিপনা এটা যোগ্য প্রশাসকের পরিচয় নয়। এজন্য বাংলার অসুবিধা হচ্ছে।”

তবে তাঁর সংযোজন, “নির্বাচন এক সঙ্গে হোক আর আলাদাভাবে হোক, নির্বাচন আমরা লড়বই তার জন্য কলকাতা এবং হাওড়া কর্পোরেশন ইলেকশনের জন্য আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে। শেয়ারিং কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। মিটিং হয়ে গিয়েছে। আগে থেকেই চলছিল মাইক্রো লেভেলে এখন বড় করে হয়েছে। পুরো শক্তি নিয়ে বিজেপি লড়াই করবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে হাওড়া পুরসভা বামেদের থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। প্রায় তিন বছর প্রশাসক বসিয়ে পুরসভার কাজ চলেছে।

ইতিমধ্যেই পুরভোট নিয়ে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাব রাজ্য নির্বাচন কমিশন মেনে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করাতে চেয়েছে রাজ্য। আর সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে, বিজেপি চায়, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হোক। ২০১১ সালে তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে যে ভাবে নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন করেছিলেন, ঠিক সেই ভাবেই নির্বাচন যাতে হয়, সেই আর্জিই জানাবে বিজেপি।

শুরু হয়েছে মামলার প্রস্তুতি। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ভোট নিরপেক্ষতার সঙ্গে নাও হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাই যথেষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীও যাতে উপস্থিত থাকে সেই বিষয়টাও দেখার কথা আদালতে জানাবে বিজেপি। পাশাপাশি বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটারের তালিকা প্রকাশ হয়। ঘোষণা হয়, ফলে পরে ভোট হলে অনেক নতুন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

গতকালই বিজেপিও দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বিজেপি কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, বাকিগুলি বাদ দিয়ে মাত্র দু’টোতে ভোট কেন হবে? একই সঙ্গে বিজেপি জানিয়েছে, আইনের পথে হাঁটবে তারা।

আরও পড়ুন: BJP meeting: শুরু হয়ে গেল ভোটের প্রস্তুতি, কলকাতা-হাওড়া নিয়ে বৈঠকে বিজেপি

Next Article