Dilip Ghosh on Bengal BJP: ‘কোন্দলের কিছু নেই, পরিবর্তনের হাওয়ায় একটু আওয়াজ হয়’

Kolkata: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, দলের নিয়ম মেনেই শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে দুই নেতাকে। তাতে কোনও ভুল নেই বলেই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Dilip Ghosh on Bengal BJP: কোন্দলের কিছু নেই, পরিবর্তনের হাওয়ায় একটু আওয়াজ হয়
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য (নিজস্ব চিত্র)

| Edited By: tista roychowdhury

Jan 24, 2022 | 8:19 AM

কলকাতা: বিক্ষুব্ধ নেতাদের শো কজ চিঠি ধরিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar) ও রীতেশ তিওয়ারিকে (Ritesh Tiwari) দলশৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিজেপির রাজ্য কমিটি। রবিবারই এই শোকজের চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়। লিখিতভাবে দুই নেতাকে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। এ নিয়েই এ বার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেরার পথে দিলীপ বলেন, “দলের অন্দরে কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। পরিবর্তনের হাওয়ায় একটু আওয়াজ হয়। সে হতেই পারে। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। পরিবর্তন মেনে নিতে সময় লাগে। সময় লাগবে। আর পার্টি যেকোনও সময়েই যেকোনও কর্মীকে শোকজ করতে পারে। যদি পার্টি মনে করে। তাতে কোনও অসুবিধার কিছু নেই। বাকিটা দলের ব্যাপার। দল বুঝে নেবে।”

শনিবারই আভাস পাওয়া গিয়েছিল, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিস পেতে চলেছেন দুই বিজেপি নেতা। টিভি নাইন বাংলা সে খবর তুলেও ধরে। রবিবার সেই প্রতিবেদনেই পড়ে সিলমোহর। প্রণয় রায় চিঠিতে লিখেছেন, এই দুই নেতার দ্বারা ‘কিছুদিন ধরে পার্টি বিরোধী বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে এই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হল। কেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।’ এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, দলের নিয়ম মেনেই শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে দুই নেতাকে। তাতে কোনও ভুল নেই বলেই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্যদিকে, শোকজের পরই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে আরও বেড়েছে বিক্ষোভের সুর। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বলেছেন, ‘ওরা যা করে করুক, আরও বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন।’ সব বিক্ষুব্ধদেরই কি বাদ দেওয়া হবে? চ্যালেঞ্জের সুরে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন শান্তনু।

বিজেপির রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। একের পর এক নেতা, বিধায়ক দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। গ্রুপ ‘লেফট’ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজেও। এরপরই দেখা যায় ‘বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে তাঁর বনগাঁর বাড়িতে বৈঠক হচ্ছে। সেখানে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিরা। এরপর ‘বেসুরো’দের নিয়ে একটি পিকনিকও হয় বনগাঁয়।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on IAS Cadre Rules: ‘টিপটাপ, চুপচাপ আইপিএসদের তুলে নিয়ে চলে যাবে…মগের মুলুক নাকি!’