কলকাতা : ইঙ্গিত যে একেবারে পাওয়া যায়নি তা নয়। বিজেপি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসা শোনা গিয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারের মুখে। তবুও মঙ্গলবার জয়প্রকাশের দলবদল বাংলার রাজনীতিতে ছিল একটা বড় চমক। তাতে অবশ্য রাজ্য বিজেপিতে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের অন্যান্য বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারাও নাকি আগে থেকে জানতেন না যে জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সোমবারই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর বাড়িতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠকে হাজির ছিলেন জয়প্রকাশ। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শিবির বদল করার ঘটনায় আরও বাড়ছে জল্পনা।
বুধবার সকালে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কিছু পেশাদার লোক থাকেন। তাঁরা যখন যেমন তখন তেমন। এর আগে উনি কংগ্রেস করতেন। পরের দিন বিজেপির হয়ে মিডিয়ায় বসলেন। আগে বলা হতো আয়ারাম গয়ারাম। ফুটবল ক্লাব বদল করার মতো। কিছু লোক আসবে যাবে। এতে কিছু যায় আসে না।’ দলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘দল আমরা দাঁড় করিয়েছি। পার্টি এখন গাড্ডায় পড়েছে। আমরা আবার সেটা নিয়ে বসব।’
রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুর সঙ্গে বৈঠকের পরই জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বাকি নেতাদের নিয়েও। তবে কি জয়প্রকাশের পিছনে লাইনটা আদতে আরও লম্বা হতে পারে এমন প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সে সব জল্পনা উড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘বিক্ষুব্ধরাও জয়প্রকাশকে নিয়ে ফাঁপরে পড়েছে। কারণ তাঁরাও শেষ মুহুর্তে জানতেন না যে উনি দল বদল করছেন। বিক্ষুব্ধরাই ঠিক করুন তাঁরা কী করবেন। মতের অমিল থাকতেই পারে। তাঁরা সেটা কথা বলতে পারতেন।’
এ দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টেও সাংসদ লিখেছেন, ‘দু চারটে নেতা দল থেকে চলে গেলে দলের কিছু যায় আসে না।’ তিনি মনে করেন, দলের নীচুতলার কর্মীরা সঙ্গে থাকলেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: আর ছাড় নয়! শুভেন্দুর ‘নালিশ’ শুনেই মমতা সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর