Dilip Ghosh on Hanskhali Case: বারবার কেন সিবিআই তদন্তেই আস্থা? ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 13, 2022 | 6:50 AM

Dilip Ghosh on Hanskhali Case: হাঁসখালি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই প্রসঙ্গেই দিলীপের দাবি, রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা নেই সাধারণ মানুষের।

Dilip Ghosh on Hanskhali Case: বারবার কেন সিবিআই তদন্তেই আস্থা? ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ
বিজেপি সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা : হাঁসখালিতে ১৪ বছরের কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতের সেই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে তদন্তে আস্থা রাখে, তার জন্যই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র হাঁসখালি নয়, রাজ্যে পরপর একাধিক ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্য সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই বলেই আদালত এই নির্দেশ দিচ্ছে। হাঁসখালির আগে বগটুই-কাণ্ডে ও ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেও চলছে সিবিআই তদন্ত।

বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘হাঁসখালি-কাণ্ডে আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের ওপর কারও সামান্যতম আস্থা নেই।’ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের লোকেরা ও তৃণমূল দলের লোকেরাই এই ধরনের খারাপ কাজ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই সরকার কখনই সত্য সামনে আনবে না, কারণ সেখানে তাদের নিজেদের লোক জড়িয়ে আছে। তাই ঘটনাগুলোকে চাপা দিতেই রাজ্য পুলিশ বা সিট দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে বলে দাবি দিলীপের।

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে জঘন্য ঘটনা গুলোকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে উনি চান না দোষীরা শাস্তি পাক।’ দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘মানুষের সুবিচার পাওয়ার কোনও জায়গাই নেই। তাই বাধ্য হয়ে মানুষকে আদালতে যেতে হচ্ছে। আর আদালত নিরুপায় হয়ে মানুষের দাবি মেনে নিয়ে বারবার বিভিন্ন ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে।’

হাঁসখালির ঘটনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা যে মন্তব্য করেছেন, আগেই তার সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই ঘটনাকে ধর্ষণ বলা যায়, নাকি কিশোরী গর্ভবতী ছিল? নাকি প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে?

উল্লেখ্য, হাঁসখালিতে এক ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার রাতেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। আর তারপর কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দাহ করে দেওয়া হয় দেহ। এই ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : TMC leader’s Threat: বগটুইয়ের মতো পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি, আতঙ্কে কাঁপছেন সাইবানিরা 

Next Article