Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসায় খাটানো হচ্ছে প্রভাব? SSKM এর চিকিৎসায় অসন্তোষ প্রকাশ আদালতের
Jyotipriya Mallick: প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কিডনির একটি বিশেষ পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল এদিন। সেখানেই আদলতের প্রশ্নে যে এসএসকেএমের উপর চাপ আরও বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কলকাতা: ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম-এর ভূমিকা। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের পর আবার মুখ পুড়ল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসায় এসএসকেএমের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ আদালতের। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র কিডনির একটি বিশেষ পরীক্ষা সংক্রান্ত শুনানি ছিল আদালতে। সূত্রের খবর, তখনই আদালতে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথোপকথনের মধ্যেই এসএএসকেএমের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিশেষ ইডি আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়। শেষ অর্ডারে তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুয়ায়ী কী কী করতে হবে তা স্পষ্ট বলেছিলেন বিচারক। কিন্তু, তারপরেও তাঁর বেশ কিছু অতরিক্ত টেস্ট করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিচারক।
এদিন বিচারক বলেন, সামথিং ইজ নট ফেয়ার। আমার মনে হয় এসএসকেএম একটু বেশিই করছে। আমার অর্ডারে স্পষ্ট বলা ছিল কী কী টেস্ট করাতে হবে। কিন্তু একটু বেশিই করে ফেলছে। একইসঙ্গে তিনি বলছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেহেতু একজন প্রভাবশালী, মন্ত্রী ছিলেন, সে কারণে সরকারি অফিসাররা তাঁকে চিনতে পারেন। পাল্টা প্রশ্নে বালুর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, আপনি কী মনে করছেন এ ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হচ্ছে? তখনই বিচারক বলেন, হ্যাঁ মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কিডনির একটি বিশেষ পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল এদিন। সেখানেই আদলতের প্রশ্নে যে এসএসকেএমের উপর চাপ আরও বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার আবেদনের সময়ও কার্যত একই ধরনের মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বিচারককে। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, যেটা প্রয়োজন নেই সেটা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও একই রকমের মন্তব্য আসায় তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তোপ দেগেছে পদ্ম শিবির।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্ত দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ড। সাম্প্রতিককালে মুখ্যমন্ত্রীর চোট লাগার ঘটনায় মণিময়বাবুর বিবৃতি নিয়ে যত কম আলোচনা করা যায় ততই ভাল। প্রশ্ন তো উঠেই ছিল। আর নতুন করে কী উঠবে!”
