জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে বালুদা নামেই বেশি পরিচিত। ২০১১ সাল থেকে হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। ১৯৫৮ সালের ২৬ মে জন্ম বালুর। তিনি স্নাতক পাশ। পাশাপাশি এলএলবি ডিগ্রিও রয়েছে।
তৃণমূলের শুরুর দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন বালু। দল প্রতিষ্ঠার সময় রেজিস্ট্রেশনেও স্বাক্ষর ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এক সময় কলেজ স্ট্রিট দাপিয়ে বেড়ানো, কংগ্রেস করা বালুর উত্থানের সাক্ষী বহু রাজনীতিক। কখনও ধাক্কা খেয়েছেন, কখনও কোণঠাসা হয়েছেন। তবু জমি ছাড়েননি।
বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। মধ্য কলকাতায় কংগ্রেস রাজনীতি করলেও সোমেন মিত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সংযোগ ছিল না খুব একটা। পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ বলয়ে চলে আসেন বালু। সেই সময় তিনি অলোক দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে সংগঠন করতেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিধায়ক হন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় একসময় তিনি খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর তিনি বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তবে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু-কে গ্রেফতার করে ইডি। এই মামলায় ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করেছে তারা। তাঁর গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।