Jyotipriya Mallick: জামিন পেয়ে ফের বিধানসভায় বালু, কথা বললেন স্পিকারের সঙ্গে, যোগ দেবেন বাজেট অধিবেশনেও
Jyotipriya Mallick: এদিন আবার জীবনকৃষ্ণ সাহা বালুকে দেখেই পায়ে দিয়ে প্রণামও করেন। যান সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে। সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু সময় ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানে বসে চানাচুর, বিস্কুট, চা এবং জল খান বালু।
কলকাতা: সুগার মাত্রাতিরিক্ত ছিল, প্রেসার ছিল। সেসব এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু চেহারা কিছুটা ভেঙেছে। জামিন পেয়েছেন ১৫ তারিখ। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিধানসভা গেলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এদিন বিধানসভায় গিয়ে দীর্ঘ সময় স্পিকারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়কে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দেন। বিধানসভার গাড়ি বারান্দায় (পিছনের অংশের) দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সঙ্গেও কথা বলেন বালু। সূত্রের খবর, বিধায়কের থেকে সন্দেশখালির সেই সময়ের ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন জ্যোতিপ্রিয়। এখন কি পরিস্থিতি তাও জানতে চান। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনার সময় জেলবন্দি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়।
এদিন আবার জীবনকৃষ্ণ সাহা বালুকে দেখেই পায়ে দিয়ে প্রণামও করেন। যান সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে। সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু সময় ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানে বসে চানাচুর, বিস্কুট, চা এবং জল খান বালু। যদিও শারীরিক অসুস্থতা কারণে আজ বিধানসভায় আসেননি নির্মল। আগামী ১০/১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই অধিবেশন যোগ দেবেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য ও বনমন্ত্রী।
বিধানসভায় আসতে গেলে, অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে কি করা উচিত, তাই জানতে প্রায় ১৫ মাস পরে সোমবার বিধানসভায় যান বালু। নিয়মানুসারে যে জেল থেকে জামিন পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সেই জেল কতৃপক্ষের কাছে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে তাঁকে। সূত্রের খবর, সেই ফর্ম্যাটের বিষয় জানতে এবং ফর্ম নিতেই বিধানসভায় সোমবার এসেছিলেন বালু। সেই ফর্ম জেলের কাছে পাঠাতে হত। সেই ফর্মে জেল কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্টভাবে লিখবেন যে কবে, কোন মামলায়, কোন আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। সেই ফর্ম বিধানসভায় জমা পড়ার পরেই আবার আইনসভার স্বাভাবিক কাজকর্মে যোগ দেওয়ার কথা হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক।
তবে গোটা প্রক্রিয়া যতদিন না রেগুলারাইজ হবে, ততদিন নিয়ম মাফিক বিধানসভায় যোগ দিতে পারতেন না জ্যোতিপ্রিয়। সোমবারই জানা গিয়েছিল মঙ্গলবারই জেলের আইনি সব কাগজ নিয়ে স্পিকারের কাছে আসবেন। সোমবার দুপুর ১২.৪০ থেকে ২.৩০ পর্যন্ত ছিলেন বিধানসভায়। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের কাছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই সেই সব প্রয়োজনীয় নথিই বিধানসভায় জমা দিয়েছেন তিনি। জেল থেকে সব কাগজপত্রই এসেছে বলে খবর।