Doctor’s Protest: ‘কলকাতা পুলিশ তোমার নাকি শিরদাঁড়াটা নাই…’, ডাক্তারদের খাট-চেয়ার বাজেয়াপ্ত করতেই বৌ বাজার থানার সামনে উঠল স্লোগান
Kolkata Police: জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটে দু'টি ভ্যান বাজেযাপ্ত করে বৌবাজার থানার পুলিশ। তাতে ছ'টি খাট ,ছ টি সবুজ চেয়ার ছিল। খবর পেয়ে বৌ-বাজার থানার সামনে জুনিয়র চিকিৎসকরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল কথা কাটাকাটি।
কলকাতা: যেদিন থেকে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তররা, সেই দিন থেকেই তাঁরা বারবার অভিযোগ করছিলেন পুলিশ অসহযোগিতা করছে তাঁদের সঙ্গে। কখনও বায়ো টয়লেট ঢুকতে না দেওয়া, কখনও আবার ডেকরের্টসকে আটকানো। আর এবার উত্তপ্ত হল বৌবাজার। অনশন মঞ্চে যাওয়া ছ’টি খাট, ছ’টি চেয়ার বাজেয়াপ্ত করে বৌবাজার থানার পুলিশ।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটে দু’টি ভ্যান বাজেযাপ্ত করে বৌবাজার থানার পুলিশ। তাতে ছ’টি খাট ,ছ টি সবুজ চেয়ার ছিল। খবর পেয়ে বৌ-বাজার থানার সামনে ভিড় জমান জুনিয়র চিকিৎসকরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল কথা কাটাকাটি। পুলিশ সিজার লিস্ট করে বাজেযাপ্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘ওঁরা সিজার লিস্ট বানাচ্ছেন। খাট আর চেয়ার টেবিল খুবই বেআইনি জিনিস। তাই ওঁরা বাজেয়াপ্ত করছে।’
এরপরই চটি হাতে নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। খাট এবং চেয়ার পুলিশ না ছাড়লে অবস্থান তুলবে না বলে স্পষ্ট জানান তাঁরা। এমনকী, বৌবাজার থানার সামনের গেট ছাড়াও পিছনের গেটেও অবস্থান বিক্ষোভ করে জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলতে শুরু করেন, ‘কলকাতা পুলিশ তোমার নাকি শিরদাঁড়াটা নাই/কষ্ট করে দিলাম যেটা বেচে দিলে ভাই’,’শিরদাঁড়াটা ভাল না/ওয়েলেক্সও নেবে না’ এই স্লোগান তুলে চলে বিক্ষোভ।
ধীরে-ধীরে বাড়তে থাকে জমায়েত। ওদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে বৌ বাজার থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। গেটের সামনে পাহাড়া দেন প্রচুর মহিলা পুলিশ আধিকারিক। উল্লখ্য, এ দিন সকালেও সকালের সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছিলেন,পুলিশ বারবার করে ডেকোরেটার্সের মালপত্র আনতে বাধা দিচ্ছে। গাড়ির লাইসেন্স কেড়ে নিচ্ছে। মালপত্র তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। এরপর ফের আরও একবার উঠল তেমনই অভিযোগ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রাত্রি দশটা নাগাদ ডাক্তারদের খাট চেয়ার ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সেগুলি ধর্মতলার অনশন মঞ্চে যাবে।