Building Collapse: রাতভর বৃষ্টি হতেই আবারও কলকাতায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি
Kolkata: পুরসভার রেকর্ডে শহরে বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
কলকাতা: শহরে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভাঙল দুই প্রান্তে পরপর দু’টি বাড়ি (Old Building Collapse)। একদিকে কটন স্ট্রিটে চারতলা বাড়ির একটি অংশ সোমবার ভেঙে পড়ে। অন্যদিকে নারকেলডাঙা থানা এলাকায়ও একটি বাড়ির দোতলার বড় অংশ ধসে যায়। দু’জায়গাতেই হতাহতের কোনও খবর নেই। বিপদ পাশ কাটিয়ে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে বাড়ির লোকজনকে।
কলকাতা পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩৮ নম্বর কটন স্ট্রিটের একটি চারতলা বাড়ির একাংশ এদিন ভেঙে পড়ে। সে সময় বাড়ির ভিতরেই ছিল একটি পরিবার। জানা গিয়েছে, পরিবারটি ভাড়া থাকে এখানে। বারান্দার রেলিংয়ের একটি অংশ হুড়মুড়িয়ে এদিন ভেঙে পড়ে। এমনিতেই বাড়িটির জরাজীর্ণ অবস্থা। তার মধ্যে গত রাত থেকে যে ভাবে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে, বাড়িটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকার বাড়িটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে যে কোনও সময়ই বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। শুধুমাত্র বাড়ির লোকজনই যে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন এমন নয়, জীবনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে কোনও পথচারীরও। এদিনই বাড়ির যে অংশটি ভেঙেছে, তা গিয়ে পড়েছে সামনের রাস্তায়। সেই ভাড়াটিয়া পরিবারকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি বিপদজনক অংশ ভাঙার কাজ চলছে। রাস্তায় গার্ড রেল দিয়ে আটকে চলছে সেই ভাঙার কাজ।
অন্যদিকে নারকেলডাঙা থানার অন্তর্গত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন লেনেও এদিন একটি দোতলা বাড়ির বিরাট অংশ ভেঙে পড়ে। বিপদজনক বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল ওই বাড়িটি। তারপরও সেখানে একটি পরিবার থেকে গিয়েছে। পরিবারের লোকজনকে বের করে আনা হয় এদিনের ঘটনার পর।
পুরসভার রেকর্ডে শহরে বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। কিন্তু বিপদজনক অংশ না ভাঙার ফলে যে ঝুঁকির আশঙ্কা, তাতে পুরসভার ভূমিকা কী? প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলে। সরকারি হিসেবে ৩ হাজার বলা হলেও বেসরকারি হিসেব অন্যই বলছেন বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, শহরে এমন ক’টা বাড়ি রয়েছে, তার তথ্যও নেই পুরসভার কাছে। কেউ অভিযোগ করলে তখন পুরসভা জানতে পারে যে সংশ্লিষ্ট নির্মাণটি বেআইনি। বরোভিত্তিক দল থাকলেও পুরকর্মীর অভাবে অনেক সময়েই বেআইনি নির্মাণের উপর নজরদারির কাজটা ঠিক ভাবে করা যায় না বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
কিন্তু বেআইনি নির্মাণের ‘রোগ’ এত পুরনো হওয়া সত্ত্বেও কেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই পুরসভার কাছে? এই প্রশ্ন উঠেছে পুর প্রশাসনের একাংশের মধ্যে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলা মুশকিল। ক’টা ভাঙার অর্ডার রয়েছে, সেটা বলা সম্ভব। তবে বেশির ভাগ বেআইনি নির্মাণই পুরসভা ভেঙে দেয়। কয়েকটি জায়গায় হয়তো অসুবিধায় পড়তে হয়।’’
আরও পড়ুন: Weather Update: এ ফাঁড়া কাটার নয়! বাংলার উপর আরও এক নিম্নচাপ, ভাসবে একাধিক জেলা