কলকাতা: পুজোর দিন গোনা শুরু। আর এরইমধ্যে আগমনীর বার্তা নিয়ে হাজির পুজোয় পালস সিজন ২। পালস ক্যান্ডি ও টিভিনাইন বাংলার যৌথ উদ্যোগ। দিকে দিকে চলছে পালস ক্যান্ডি ট্যাবলোর পরিক্রমা। এবারের পরিক্রমায় নতুন চমক পালস গোলমোল ইমলি ক্যান্ডি। এই ক্য়ান্ডির স্বাদ পেতে পথ চলতি মানুষের ভিড় ট্যাবলোর সামনে।
পালস খুবই জনপ্রিয় ক্যান্ডি। এবার তাতে আবার তেঁতুলের স্বাদ মিশেছে। ছোট থেকে বড়, সকলেই দারুণ খুশি এই স্বাদে। পালস গোলমোল ইমলি ক্যান্ডির স্বাদ নেওয়ার সঙ্গে সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নেওয়ার সুযোগ থাকছে ব্র্যান্ড নিউ বাইক থেকে এলইডি টিভি, মাইক্রোওয়েভ, জুসার মিক্সার।
পুজোয় পালস সিজন-২তে সম্মান জানানো হল কুমোরটুলির সর্বকনিষ্ঠ মৃৎশিল্পী রিমা পালকে। রিমা বলেন, “এত বড় একটা সম্মান পেয়ে আমি খুবই খুশি। টিভিনাইন আর পালসকে অনেক ধন্যবাদ।” কুমোরটুলির প্রত্যেক শিল্পীর জীবনের একটা গল্প আছে। কেউ বংশ পরম্পরায় প্রতিমা গড়ছেন, কেউ আবার শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রথমবার হাতে মাটি তুলে নেন। প্রথমবার মৃণ্ময়ী মূর্তি গড়া। আবার কেউ দেশভাগের সময় ওপার বাংলা ছেড়ে এপার বাংলায় এসে উঠেছেন। শোভাবাজারের কুমোরটুলির এক চিলতে ঘরে সংসার পেতেছেন। সেখানে নিজে প্রতিমা গড়েছেন, শিখিয়েছেন সন্তানদেরও। তাঁরাও বংশ পরম্পরায় মূর্তি গড়ে চলেছেন। এরকমই একজন রিমা পাল।
কুমোরটুলির সর্বকনিষ্ঠ প্রতিমা শিল্পী রিমা ১৪ বছর বয়সে প্রথমবার খড়ের উপর মাটির প্রলেপ দিয়েছিলেন। সাজিয়েছিলেন দশপ্রহরণধারিণীকে। সেই হাতে খড়ি। এখন ২৭ বছর বয়স হয়েছে তাঁর। এবার কলকাতার একাধিক বড় পুজো মণ্ডপে শোভা পাবে রিমার তৈরি প্রতিমা।
দেশভাগের পর কলকাতায় চলে আসেন ভূপতিচরণ পাল। শোভাবাজার এলাকার সুতানুটিতে এক চিলতে ঘরে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু করেন ভূপতিচরণ। বংশপরম্পরায় কেটেছে কেটেছে তিন প্রজন্ম। চতুর্থ প্রজন্মে এবার নিজের নাম তালিকায় এনেছেন রিমা পাল। বাবা বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল।
ছোটবেলা থেকেই প্রতিমা গড়ার কাজে উৎসাহ ছিল রিমার। বাবা যখন প্রতিমা তৈরি করতেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই প্রতিমার কাজ মন দিয়ে দেখত ছোট্ট রিমা। বাবাকে সাহায্য করত সে। মায়ের হাতে অস্ত্র বা ছোট্ট হাতে দুর্গামূর্তির পায়ে পরিয়ে দিত আলতা। ছোট্ট হাতগুলো মহামায়াকে সাজাতে সাজাতে এখন পোক্ত। নিজেই এখন রিমা শিল্পী।
কলকাতার বড় পুজোর প্রতিমা তৈরি করছেন এবার। কুমোরটুলির সর্বকনিষ্ঠ মৃৎশিল্পী রিমা পাল। রিমা বলেন, “আমাদের পারিবারিক শিল্প। বাবা, জ্যেঠুর সঙ্গে ছোট থেকেই একটু করে মাটি নিয়ে কাজ করতাম। যত বড় হয়েছি, বুঝেছি এই শিল্পর সঙ্গে আমি যুক্ত হতে পারি। আর্ট কলেজে পড়লাম। তারপর আসতে আসতে আমার ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে গেলাম।”
প্রতিমা তৈরি রক্তে রয়েছে রিমার। তার সঙ্গে আর্ট কলেজে হাতে কলমে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন রিমা পুরোদস্তুর শিল্পী। বিদেশেও গিয়েছে তাঁর তৈরি প্রতিমা। রিমার বাবার কথায়, ৩৫ বছর ধরে এই কাজ করছেন তিনি। আগামী প্রজন্মও সেই কাজে আসায় খুশি তিনিও।
কলকাতা: পুজোর দিন গোনা শুরু। আর এরইমধ্যে আগমনীর বার্তা নিয়ে হাজির পুজোয় পালস সিজন ২। পালস ক্যান্ডি ও টিভিনাইন বাংলার যৌথ উদ্যোগ। দিকে দিকে চলছে পালস ক্যান্ডি ট্যাবলোর পরিক্রমা। এবারের পরিক্রমায় নতুন চমক পালস গোলমোল ইমলি ক্যান্ডি। এই ক্য়ান্ডির স্বাদ পেতে পথ চলতি মানুষের ভিড় ট্যাবলোর সামনে।
পালস খুবই জনপ্রিয় ক্যান্ডি। এবার তাতে আবার তেঁতুলের স্বাদ মিশেছে। ছোট থেকে বড়, সকলেই দারুণ খুশি এই স্বাদে। পালস গোলমোল ইমলি ক্যান্ডির স্বাদ নেওয়ার সঙ্গে সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নেওয়ার সুযোগ থাকছে ব্র্যান্ড নিউ বাইক থেকে এলইডি টিভি, মাইক্রোওয়েভ, জুসার মিক্সার।
পুজোয় পালস সিজন-২তে সম্মান জানানো হল কুমোরটুলির সর্বকনিষ্ঠ মৃৎশিল্পী রিমা পালকে। রিমা বলেন, “এত বড় একটা সম্মান পেয়ে আমি খুবই খুশি। টিভিনাইন আর পালসকে অনেক ধন্যবাদ।” কুমোরটুলির প্রত্যেক শিল্পীর জীবনের একটা গল্প আছে। কেউ বংশ পরম্পরায় প্রতিমা গড়ছেন, কেউ আবার শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রথমবার হাতে মাটি তুলে নেন। প্রথমবার মৃণ্ময়ী মূর্তি গড়া। আবার কেউ দেশভাগের সময় ওপার বাংলা ছেড়ে এপার বাংলায় এসে উঠেছেন। শোভাবাজারের কুমোরটুলির এক চিলতে ঘরে সংসার পেতেছেন। সেখানে নিজে প্রতিমা গড়েছেন, শিখিয়েছেন সন্তানদেরও। তাঁরাও বংশ পরম্পরায় মূর্তি গড়ে চলেছেন। এরকমই একজন রিমা পাল।
কুমোরটুলির সর্বকনিষ্ঠ প্রতিমা শিল্পী রিমা ১৪ বছর বয়সে প্রথমবার খড়ের উপর মাটির প্রলেপ দিয়েছিলেন। সাজিয়েছিলেন দশপ্রহরণধারিণীকে। সেই হাতে খড়ি। এখন ২৭ বছর বয়স হয়েছে তাঁর। এবার কলকাতার একাধিক বড় পুজো মণ্ডপে শোভা পাবে রিমার তৈরি প্রতিমা।
দেশভাগের পর কলকাতায় চলে আসেন ভূপতিচরণ পাল। শোভাবাজার এলাকার সুতানুটিতে এক চিলতে ঘরে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু করেন ভূপতিচরণ। বংশপরম্পরায় কেটেছে কেটেছে তিন প্রজন্ম। চতুর্থ প্রজন্মে এবার নিজের নাম তালিকায় এনেছেন রিমা পাল। বাবা বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল।
ছোটবেলা থেকেই প্রতিমা গড়ার কাজে উৎসাহ ছিল রিমার। বাবা যখন প্রতিমা তৈরি করতেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই প্রতিমার কাজ মন দিয়ে দেখত ছোট্ট রিমা। বাবাকে সাহায্য করত সে। মায়ের হাতে অস্ত্র বা ছোট্ট হাতে দুর্গামূর্তির পায়ে পরিয়ে দিত আলতা। ছোট্ট হাতগুলো মহামায়াকে সাজাতে সাজাতে এখন পোক্ত। নিজেই এখন রিমা শিল্পী।
কলকাতার বড় পুজোর প্রতিমা তৈরি করছেন এবার। কুমোরটুলির সর্বকনিষ্ঠ মৃৎশিল্পী রিমা পাল। রিমা বলেন, “আমাদের পারিবারিক শিল্প। বাবা, জ্যেঠুর সঙ্গে ছোট থেকেই একটু করে মাটি নিয়ে কাজ করতাম। যত বড় হয়েছি, বুঝেছি এই শিল্পর সঙ্গে আমি যুক্ত হতে পারি। আর্ট কলেজে পড়লাম। তারপর আসতে আসতে আমার ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে গেলাম।”
প্রতিমা তৈরি রক্তে রয়েছে রিমার। তার সঙ্গে আর্ট কলেজে হাতে কলমে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন রিমা পুরোদস্তুর শিল্পী। বিদেশেও গিয়েছে তাঁর তৈরি প্রতিমা। রিমার বাবার কথায়, ৩৫ বছর ধরে এই কাজ করছেন তিনি। আগামী প্রজন্মও সেই কাজে আসায় খুশি তিনিও।