Durga Puja 2021: বিসর্জনে নজির কলকাতা পুরসভার; জলে পড়ল না প্রতিমা, তবু নিরঞ্জন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 16, 2021 | 5:12 PM

Kolkata Municipal Corporation: আজ হোস পাইপ দিয়ে প্রতিমা গলিয়ে নজির গড়েছে কলকাতা পুরসভা।

Durga Puja 2021: বিসর্জনে নজির কলকাতা পুরসভার; জলে পড়ল না প্রতিমা, তবু নিরঞ্জন
হোস্ট পাইপ দিয়ে গলানো হচ্ছে প্রতিমা (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: আজ দশমী। উমার এবার কৈলাশে ফেরার পালা। চোখের জলে ঘরের মেয়েকে বিদায় দেওয়ার পালা বাঙলির। ঘাটে-ঘাটে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিসর্জন। আর এই বিসর্জন ঘিরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।

আজ কলকাতার (Kolkata)মোট ১৭টি ঘাটে বিসর্জন হচ্ছে। রাত ৮টা পর্যন্ত মোট এগারোশো প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন দেখা যায় প্রায় ঊনত্রিশো মতো প্রতিমা বিসর্জন হয়। কিন্তু এইবছর সেটা তুলনামূলক অনেকটাই কম। এখনও প্রায় রাত ১২ অবধি প্রতিমা বিসর্জন হবে।

এদিকে, আজ হোস পাইপ দিয়ে প্রতিমা গলিয়ে নজির গড়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। দই ঘাটে (Doi Ghat) আজ প্রথম দিনে মোট ১০ প্রতিমা এই হোস পাইপ দিয়ে গলানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার অভিনব এই উদ্যোগকে সাফল্য জানিয়েছেন মুখ্য পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বলেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। যে কারণে আমরা গঙ্গার জল দূষণ হতে দিচ্ছি না। আজ রাতে অন্তত দুই হাজারের কাছাকাছি প্রতিমা বিসর্জন হবে। গঙ্গার জলে যে ফুল বা পরিকাঠামো পড়ে থাকছে সেগুলো দ্রুত তুলে ফেলা হবে। ”

বিসর্জন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ ঘাটগুলি ঘুরে দেখেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বাঁজা কদমতলা ঘাটে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৭৮ প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছে।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশীস কুমার জানিয়েছেন, “কলকাতা পুরসভায় গত কয়েক বছর যাবত এই ধরনের দূষণ মক্ত বিসর্জনের চেষ্টা করছে। হোস পাইপ দিয়ে প্রতিমা গলানো আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। এইবছর তার বাস্তবায়ন আমরা করতে পেরেছি। মানুষ যে এই বিষয়টিকে অত্যন্ত সহজভাবে গ্রহণ করেছেন তার জন্য আমরা আপ্লুত। আজকে প্রায় ১০ থেকে ১২ প্রতিমা হোস পাইপ দিয়ে গলানো হয়েছে। আশা রাখছি আগামীদিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো যাবে।”

উল্লেখ্য, বিসর্জন ঘিরে কড়া ব্যবস্থা রয়েছে ঘাটগুলিতে। রয়েছে লাইফ সেভিং বোট, স্পিড বোট, জেটস্কি তে নজরদারির ব্যবস্থা। নজরদারির দায়িত্বে রিভার ট্রাফিক পুলিশ।

তৈরি করা হয়েছে ডিএমজি-র বিশেষ রেসকিউ টিম। প্রতি টিমে স্কুবা ডাইভিং সেট-সহ ৫ বিশেষ প্রশিক্ষিত ডিএমজি-র ডুবুরি। বাগবাজার, নিমতলা, বাজা কদমতলা ঘাট, গোয়ালিয়ার ঘাটের মতো ব্যস্ত বিসর্জন ঘাটে মোতায়েন দুটো করে মোট আটটা ডিএমজি টিম। গোটা বিসর্জন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ৩ জয়েন্ট সিপি। ১৫ অক্টোবর থেকে এবং ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে, নবান্ন থেকে গাইডলাইন জারি করা হয়েছে।

পুজোতেও একাধিক গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের তরফেও জারি করা হয়েছিল একাধিক নির্দেশিকা। সেখানে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা থেকে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখার কথা বলা হয়েছে। আইনজীবীর মতে, হাইকোর্টের নির্দেশে এইগুলির কোনওটাই করার কথা নয়। তাই আদালত অবমাননার মামলা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আঁধারে পুজো: ‘দেখলেই কেটলি কেড়ে নেব’,ম্যাডক্সে চা বিক্রি করতে গিয়ে তটস্থ নন্দীগ্রামের চাওয়ালা

Next Article