DYFI: চব্বিশের শুরুতেই ব্রিগেড সমাবেশ মীনাক্ষীদের, লোকসভার আগে হাল কি ফিরবে?
DYFI: লোকসভার আগে আগামী বছরের শুরুতেই তাই শক্তি প্রদর্শনের জন্য কোমর বাঁধছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। টার্গেট ব্রিগেডে শ্বেত পতাকার ভিড় জমানো। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
কলকাতা: সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ছিল সব দলগুলির কাছে অ্যাসিড টেস্টের মতো। আর সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বামেরা। যে ‘সাগরদিঘি মডেল’ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এত চর্চা হয়েছে, তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ধূপগুড়িতে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ বামেদের যুব ব্রিগেড। লোকসভার আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল ব্রিগেড। লোকসভার আগে আগামী বছরের শুরুতেই তাই শক্তি প্রদর্শনের জন্য কোমর বাঁধছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। টার্গেট ব্রিগেডে শ্বেত পতাকার ভিড় জমানো। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
হাতিয়ার বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান, শিল্প-কারখানা, কাজে স্থায়ীকরণের দাবি। এই সব ইস্যুগুলিকে সামনে রেখেই মাঠে ময়দানে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে মরিয়া বামেদের যুব শিবিরে শ্বেত পতাকার ধারক-বাহকরা। জানুয়ারিতে ব্রিগেড। তার আগেও থাকছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। আগামী দু’মাস ধরে টানা রাস্তায় নেমে প্রচার চালাবে ডিওয়াইএফআই। জেলায় জেলায় চলবে প্রচার। এরপর আগামী ৩ নভেম্বর ডিওয়াইএফআই প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যজুড়ে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী বলছেন, ‘আমাদের তো সরকারি বদান্যতায় পদযাত্রা নয়। আমাদের পদযাত্রায় শিক্ষিত বেকার যুবরা থাকবেন। যাঁরা বেকারত্বের মধ্যে পরিবারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা আসবেন। আমরা তাঁবুর লড়াইয়ে নেই। রাস্তার লড়াইয়ে আছি। খোলা আকাশের নীচে আমাদের লড়াই।’
সাগরদিঘির উপনির্বাচনের মতো ধূপগুড়িতেও হাতে হাত ধরে ভোটে নেমেছিল বাম কংগ্রেস। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিল সিপিএম। উপনির্বাচনে সাময়িক হাসি ফুটলেও, পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয়েছে, তা গোটা বাংলা দেখেছে। তবু সেই সাগরদিঘি মডেলেই ধূপগুড়িতেও আসরে নেমেছিল বাম-কংগ্রেস। তবে ধূপগুড়িতে ‘ফ্লপ’ সাগরদিঘি মডেল। এমন অবস্থায় মীনাক্ষীদের এই ব্রিগেড সমাবেশে কি কংগ্রেসেকেও দেখা যেতে পারে? প্রশ্নে সরাসরি কোনও উত্তর না করলেও ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী বলছেন, ‘যাঁরা নিজেদের জীবন যন্ত্রণার কথা বলছেন, তাঁদের সবাইকে আমন্ত্রণ। যাঁরা এই লড়াই লড়তে চান, লড়ছেন… তাঁদের সবার জন্য এই সমাবেশ।’
অতীতেও বিভিন্ন সময়ে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে ভিড় উপচে পড়েছে। কিন্তু ইভিএমে বা ব্যালটে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। এমন অবস্থায় আবার এক ব্রিগেডের ডাক মীনাক্ষীদের। ভোট রাজনীতিতে হাল কি ফিরবে? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে লোকসভা ভোট পর্যন্ত।