সুদই যদি ১০ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে ‘আসল’ কত? মুুকুল-বিদেশের টাকার হিসেব মেলাতে অঙ্ক কষছে ED
Ration Scam: আদালতে তদন্তকারীরা উল্লেখ করেছেন, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী যখন এসএসকেএম হাসপাতালের বেডে শুয়েছিলেন, তখনও নাকি ওই ভাগের টাকা দিতে বলেছিলেন মুকুল ও বিদেশকে। সূত্রের খবর, হাসপাতালে থাকাকালীন নাকি বালু ১০ লক্ষ টাকা করে দিতে বলেছিলেন দুই ভাইকে।
কলকাতা: আনিসুর ও আলিফ নূর অর্থাৎ বিদেশ ও মুকুল নামে যাঁরা পরিচিত, তাঁদের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের টাকার লেনদেন সামনে এসেছে। আদালতে এমনটাই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার দুই ভাই গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চাইছে ইডি। অভিযোগ, নিজের আত্মীয়দের ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন দুই ভাই। শুধু তাই নয়, সে সব টাকার ভাগ জ্যোতিপ্রিয়কে দেওয়া হত, এমনটাও দাবি করেছে ইডি।
আদালতে তদন্তকারীরা উল্লেখ করেছেন, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী যখন এসএসকেএম হাসপাতালের বেডে শুয়েছিলেন, তখনও নাকি ওই ভাগের টাকা দিতে বলেছিলেন মুকুল ও বিদেশকে। সূত্রের খবর, হাসপাতালে থাকাকালীন নাকি বালু ১০ লক্ষ টাকা করে দিতে বলেছিলেন দুই ভাইকে। আর সেটা হল সুদ। অর্থাৎ দুর্নীতির যে টাকা তাদের কাছে আছে, সেটার সুদই নাকি দেওয়ার কথা ছিল বালুকে।
প্রশ্ন হল, যে টাকার সুদই হয় ১০ লক্ষ, তাহলে তার আসল কত? অর্থাৎ ঠিক কত টাকা জমা আছে রহমান ভাইদের কাছে? ইডি অফিসারদের দাবি, রেশন বন্টন দুর্নীতির ভাগের ২০ কোটি টাকা তাঁদের কাছে জমা আছে। আদালতে এ কথা জানিয়েছে ইডি। তারই মাসের সুদ হল ১০ লক্ষ টাকা। ইডি-র দাবি, ওই টাকাই মাসে মাসে পরিবারকে দিতে বলেছিলেন বালু।
ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে বসে লেখা চিঠিতে শুধু সুদের টাকা হিসেবেই ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন বালু, আসল টাকায় হাত দিতে বারণ করেছিলেন। অঙ্কের হিসেব ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে আদালতে।