AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Scam: ‘শান্তনুর মোবাইলে সোনার খনি! কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম রয়েছে…’, আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র

ED Probe in Recruitment Scam: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী আদালতে জানান, 'কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম রয়েছে, এমন এমন তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি চমকে যাবেন।'

Recruitment Scam: 'শান্তনুর মোবাইলে সোনার খনি! কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম রয়েছে...', আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 5:41 PM
Share

কলকাতা: সোমবার কলকাতায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshall Court) পেশ করা হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee)। শান্তনুকে ১১ দিনের ইডি হেফাজতের জন্য আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (Enforcement Directorate)। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পরতে পরতে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করত। সেখান থেকে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড তো পাওয়া গিয়েছেই, এছাড়াও মিলেছে প্রচুর নথি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে তথ্য হিসেবে জানানো হয়, ওই দুটি মোবাইলে সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এমন কিছু তথ্য সেই মোবাইলগুলি থেকে পাওয়া গিয়েছে, যা আদালত কক্ষে বলা যাবে না। সেগুলি কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করা রয়েছে বলে দাবি ইডির। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী আদালতে জানান, ‘কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম রয়েছে, এমন এমন তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি চমকে যাবেন।’

উল্লেখ্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় যে যথেষ্ট প্রভাবশালী, সেই কথা এদিন ইডির তরফে তুলে ধরা হয় আদালতে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, একজন এনআইএ বিচারকের বাড়ির সামনে একজন পিএসও থাকেন। সেখানে শান্তনুর বাড়ির সামনে দুইজন পিএসও। ইডির দাবি, এর থেকেও বোঝা যায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা প্রভাবশালী ছিলেন। এদিকে শান্তনুর আইনজীবী পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন তাঁর মক্কেলকে ৬ দিন বাদে গ্রেফতার করা হল? তাঁর প্রশ্ন, যদি শান্তনুকে গ্রেফতার করারই হত, তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শুরুতেই কেন গ্রেফতার করা হল না? সেই কথা শুনে বিচারক শান্তনুর আইনজীবীকে বলেন, ‘কবে গ্রেফতার করা হবে, সেটা আপনাদের বলতে হবে না। একদিনে করবে নাকি ৫০ দিনে করবে, তা তদন্তকারী অফিসার বুঝবেন। আপনারা যা কথা বলবেন পয়েন্টে বলুন। এটা পিএমএলএ আইনের মামলা। সেটা ধরে আপনারা কথা বলুন।’

বিচারক এরপর আরও বলেন, তদন্তকারীরা কী তথ্য পেয়েছেন, তদন্তে কী উঠে এসেছে, সেগুলি নিশ্চয়ই কেস ডায়েরিতে রয়েছে। এরপর শান্তনুর আইনজীবীকে তিনি বলেন, ‘আরও তো অনেক লোক আছে, তাঁদের তো অনেকের সম্পত্তি আছে। তাঁদের কাউকে তো গ্রেফতার করেনি। ওনার নিশ্চয়ই কোনও যোগ পেয়েছে।’