Ayan Sil: অয়নের ‘সোনার খনি’ থেকে কী কী বেরোল? চার্জশিটে জানাল ইডি
ED Charge sheet: অয়নের গ্রেফতারির পরই ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা সোনার খনি হাতে পেয়েছে। এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল অয়নের সম্পত্তির খতিয়ান।

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের (Ayan Sil) বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিটের নাম রয়েছে শান্তনুর সংস্থা এভান কনট্রেড, দীপ ডেভেলপার্সেরও। অয়নের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবিএস ইনফোজোন ও ফসিলস-এরও নাম রয়েছে ইডির চার্জশিটে। চার্জশিটে ইডির তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অয়ন শীল হল সেই ব্যক্তি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মধ্যে ব্রিজ হিসেবে কাজ করত। উল্লেখ্য, অয়নের গ্রেফতারির পরই ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা সোনার খনি হাতে পেয়েছে। এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল অয়নের সম্পত্তির খতিয়ান।
এখনও পর্যন্ত ইডির হাতে অয়নের যে সম্পত্তির হিসেব উঠে এসেছে –
এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে ১১৩ পাতার চার্জশিট জমা করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, অয়নের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১০ কোটি ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। সন্ধান মিলেছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৩১ হাজার টাকার। শেয়ার বাজারে লগ্নি করা হয়েছে ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার গাড়িও রয়েছে।
চার্জশিটে ইডি আরও উল্লেখ করেছে, অয়নের রেস্তঁরা ফসিলসের টাকা গিয়েছে পেট্রোল পাম্পে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে অভিষেক শীল, কাকলি শীল ও শ্বেতা চক্রবর্তীকে। শ্বেতার কাছে থাকা ফ্ল্যাট ও গাড়িও অয়নের নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় কেনা বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি। বাজার থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন শীল। ২০১২-১৪ সালে টেট পাশ করানোর জন্য অয়ন ১ হাজার জনের থেকে ৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল বলে দাবি ইডির। ১৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা, হোটেল ও পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়। অয়ন আর শান্তনুর মিলিতভাবে দুর্নীতির সম্পত্তি ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৮ টাকা। চার্জশিটে এক জনৈক গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও উল্লেখ করেছে ইডি। কুন্তল ঘোষের নির্দেশে গঙ্গোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তিকে কয়েক দফায় ২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়েছিল অয়ন, চার্জশিটে দাবি ইডির।





