Hare School Teacher Suicide: হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ, পেনশন চালু না হওয়ার কারণ জানালেন ব্রাত্য
Hare School Teacher Suicide: হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দাসের(৬৩) আত্মহত্যা নিয়ে বর্তমানে শোকের ছায়া নেমেছে শিক্ষামহলে। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
কলকাতা: মিলেছিল শিক্ষারত্ন উপাধি। কিন্তু বছর তিনেক আগে অবসরের পর আর জোটেনি পেনশন (Pension)। হেয়ার স্কুলের (Hare School) প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দাসের(৬৩) আত্মহত্যা নিয়ে বর্তমানে শোকের ছায়া নেমেছে শিক্ষামহলে। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন তিনি। অবসরের পর পেনশন না পাওয়ার জেরে অবসাদের কারণেই কী আত্মহত্যা করেছেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন। একই কথা বলছেন তাঁর স্ত্রীও। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা। আমি খোঁজ নিলাম। সুনীলবাবুর জন্য আমি মর্মাহত। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওনাকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। ওই মাসেই উনি অবসর নেন। এদিকে ওই মাসের ১১ তারিখে শিক্ষারত্ন পাওয়ার ৬ দিন পর তাঁর নামে একটি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। একটি তদন্তও চলছিল। সে কারণেই ওনার পেনশন বন্ধ ছিল। তবে, ২০২১ সালে ওনার জন্য আমরা একটি আপৎকালীন পেনশন চালু করেছিলাম। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তা চালু করা হয়। কিন্তু, কিছুদিন আগে ওনার ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়েছিল। সেটা আমরাও দেখিনি।”
ব্রাত্য আরও বলেন, “যেহেতু বর্তমানে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তাই শিক্ষা বিভাগের সিনিয়ার স্পেশ্যাল সেক্রেটারির অধীনে আরও দুজন সদস্য সহ একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি আমরা তৈরি করেছি। তাঁরাই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমাদের রিপোর্ট দেবেন। কবে আর্থিক অনিময় শুরু হয়, কী কারণে অভিযোগ, ফাইনাল রিপোর্ট সম্পর্কেও বিশদে তাঁরা জানাবেন।”
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত শিক্ষকের স্ত্রী আগেই বলেছেন, “মাঝে-মধ্যেই বিকাশ ভবনে যেতেন। কারও সঙ্গে দেখা করতেন। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছিল না। আমার মনে হয় পেনশনের জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এই বিষয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছিলেন যে পেনশন পেতেন না ঠিকমত। সংসার চলবে কী করে। আমরা চাই উনি অন্তত পেনশনটুকু পান।”