
কলকাতা: শিক্ষা দফতরের সচিব পদ থেকে সরানো হল মণীশ জৈনকে। সচিব থাকাকালীন একাধিকবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তলব করা হয়েছে তাঁকে। তবে সম্প্রতি এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মণীশ জৈনকে। এবার দফতর বদল হল তাঁর। তবে শুধুমাত্র মণীশ জৈন নয়, আরও ৮ আইএএস অফিসারের দফতর বদল হয়েছে। বুধবারই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে নবান্ন।
মণীশ জৈনকে শিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব করা হয়েছ। আর শিক্ষা দফতরের নতুন সচিব হলেন বিনোদ কুমার। বিনোদ কুমার নগরোয়ন্নয়ন ও পুর দফতরের সচিব ছিলেন।
মোট ৯ আমলার দফতর বদল করা হয়েছে এদিন। মণীশ জৈন ও বিনোদ কুমার ছাড়া মহম্মদ গুলাম আলি আনসারিকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া দফতর বদল হয়েছে আইএএস পি বি সেলিম, বিজয় ভারতী, সৌম্য পুরকাইত, জয়শী দাশুগুপ্তা, শিলাদিত্য বসু রায় ও অমিত রায় চৌধুরীর।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বারবার মণীশ জৈনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ফাইল পাঠানোর বিষয়েও অভিযোগ ওঠে তাঁর দিকে। আর লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বলে সূত্রের খবর। জানা যায়, মণীশ জৈন নাকি কোনও ফাইলে সই করার সময় লিখে দিচ্ছেন, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনও দায় নিজের ওপর রাখতে চাইছেন না তিনি, এই নিয়েই মণীশ জৈনকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন মমতা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তুমি দুদিকে পা দিয়ে চলছ।’ তবে দু দিক বলতে কী বলতে চেয়েছিলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। এরই মধ্যে বদল হল দফতর।