Election Commission: মেলায়নি রেমাল ক্ষত, এখনও সুন্দরবনের আকাশের মুখ ভার, ভোটের একদিন আগে বড় পরিকল্পনা কমিশনের

Election Commission: একই ছবি সন্দেশখালি, পাথরপ্রতিমা, বসিরহাটেও। কোনওভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন হলে, রাতে কোনও অসুবিধা হলে তা মোকাবিলার জন্যও রাখা হচ্ছে ব্যবস্থা। বসিরহাটে ভোট কর্মীদের দেওয়া হল এমারজেন্সি লাইট।

Election Commission: মেলায়নি রেমাল ক্ষত, এখনও সুন্দরবনের আকাশের মুখ ভার, ভোটের একদিন আগে বড় পরিকল্পনা কমিশনের
হাতে আর মাত্র একদিনImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2024 | 5:40 PM

গোসাবা: হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই শেষ ল্যাপের ভোট। উত্তর প্রদেশ, বিহারের পাশাপাশি বাংলাতেও ৯ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হতে চলেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলির একটা বড় অংশ। তাই ঝড়ের ঝাপটা সামলে এই এলাকাগুলিতে ভোট করা নির্বাচন কমিশনের কাছে রীতিমতো বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তৎপরতা তুঙ্গে নির্বাচন কমিশনের। দুর্গম সুন্দরবনের গোসাবার দ্বীপের বুথগুলিতে বৃহস্পতিবারই জলপথে রওনা হলেন ভোট কর্মীরা। 

একই ছবি সন্দেশখালি, পাথরপ্রতিমা, বসিরহাটেও। কোনওভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন হলে, রাতে কোনও অসুবিধা হলে তা মোকাবিলার জন্যও রাখা হচ্ছে ব্যবস্থা। বসিরহাটে ভোট কর্মীদের দেওয়া হল এমার্জেন্সি লাইট। প্রসঙ্গত, রেমাল যে পথে বাংলায় হানা দিয়েছিল সেই পথেই রয়েছে বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, দমদম, বসিরহাটের মতো লোকসভা কেন্দ্র। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছিল সুন্দরবন লাগোয়া জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বিধানসভা এলাকায়। এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে জয়নগর,কুলতলি, মগরাহাট পূর্ব,ক্যানিং পূর্ব ও ক্যানিং পশ্চিম,বাসন্তী ও গোসাবা বিধানসভা এলাকা। গোসাবা থেকে ক্য়ানিং, বিধ্বংসী ঝড়ে ছাড়খাড় হয়েছে বির্স্তৃর্ণ এলাকা। ঘর ছাড়া বহু মানুষ। পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, তারপরেও রয়েছে উদ্বেগের বাতাবরণ। 

ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ইভিএম, ভিভি প্যাট নিয়ে ভোট কর্মীদের বুথে বুথে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। জয়নগরের অধীনে থাকা একমাত্র দুর্গম বিধানসভা গোসাবা। যেখানে ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে নদীবেষ্টিত একাধিক দ্বীপ গুলিতে। তাই সেই দুর্গম দ্বীপ এলাকার ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছুতে নদীপথে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। যেহেতু সুন্দরবন এলাকার আবহাওয়া যখন তখন পরিবর্তন হয় তাই নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন ২ দিন আগেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই গোসাবার দীপাঞ্চলের বুথ গুলিতে ভোট কর্মীদেরকে জলপথে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার গোসাবার বিডিও অফিস থেকে ভোট কর্মীরা ২৬০ টি বুথে এদিন ভিভি প্যাট ও ইভিএম মেশিন সহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে জলপথে লঞ্চ কিংবা বোট এমনকি ভুটভুটিতে চেপে একে একে রওনা হন নিজ নিজ বুথের পথে।