
কলকাতা: দেশের ৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জনের কাজ। প্রথম দফায় পরীক্ষামূলক ভাবে শুধুমাত্র বিহারেই চলেছিল এই শুদ্ধিকরণের কাজ। দ্বিতীয় দফায় তা শুরু হল একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। তারপরই দেখা গেল বিতর্কের জোয়ার। কোথাও ‘আতঙ্কিত’ হয়ে প্রাণ গেল ভোটারদের। কোনও কোনও রাজ্যে আবার আত্মঘাতী হলেন বিএলওরা। আর এই সঙ্কটকালেই নিজের গতিতে চলল এসআইআর। সোমবার সেই পরিমার্জনের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছে কমিশন। রাজ্যভিত্তিক কতটা কাজ হয়েছে, সেই তথ্যই তুলে ধরেছে তাঁরা।
কমিশন প্রদত্ত খতিয়ান অনুযায়ী, ২৮ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত ১০০ শতাংশ ডিজিটাইজেশনের কাজ হয়েছে লক্ষদ্বীপে। অর্থাৎ এবার শুধু খসড়া তালিকা প্রকাশের অপেক্ষা। সেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭ হাজারের সামান্য বেশি। বিএলও কাজ করেছেন ৫৫ জন। লক্ষদ্বীপের পরেই রয়েছে গোয়া। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৯২ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্য়া ১১ লক্ষ ৮৫ হাজার। বিএলও কাজ করেছেন ১ হাজার ১ হাজার ৭২৫ জন।
কমিশন প্রদত্ত তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ডিজিটাইজড হয়েছে ৮৯ শতাংশ SIR ফর্ম। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৪৬ লক্ষেরও অধিক। কাজ করেছেন ৫২ হাজার ২২২ জন বিএলও। রাজস্থানের পরেই রয়েছে বাংলা, চতুর্থ স্থানে। এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজড হয়েছে প্রায় ৮৮ শতাংশ SIR ফর্ম।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে মধ্য প্রদেশ। সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত SIR-এর ফর্ম ডিজিটাইজড মোট ৮৬ শতাংশ। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৭৪ লক্ষ। বিএলও কাজ করেছেন মোট ৬৫ হাজার ১৪ জন। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি। সেখানে ডিজিটাইজড হয়েছে ৮৩ শতাংশ SIR ফর্ম। মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ লক্ষ ২১ হাজার। বিএলও কাজ করছেন ৯৬২ জন। সপ্তম স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী জন্মভূমি গুজরাট। সেখানে এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজড হয়েছে ৮১ শতাংশ ফর্ম। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার। কাজ করছেন ৫০ হাজার বিএলও।
অষ্টম স্থানে রয়েছে ছত্তীসগঢ়। সেখানে ডিজিটাইজড হয়েছে ৭৭ শতাংশ ফর্ম। এরপরেই রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর। সেখানে ডিজিটাইজড হয়েছে মোট ৭৬ শতাংশ ফর্ম। দশম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে মোট ডিজিটাইজেশনের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ। এই তালিকায় সবচেয়ে নীচে রয়েছে কেরল ও উত্তর প্রদেশ। ওই দক্ষিণী রাজ্য়ে এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজড হয়েছে মোট ৬৪ শতাংশ ফর্ম। উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে কম প্রায় ৫৫ শতাংশ।