
কলকাতা: ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জনের কাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। রাজ্য়ের শাসকদলকে সমঝে দিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছে যায় অভিষেকের তৈরি করা একটি ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে SIR-এর জেরে মৃত বিএলও ও সাধারণ ভোটারদের তালিকা পেশ করে তৃণমূল। সঙ্গে করে পাঁচটি প্রশ্ন। যদিও রাজ্যের শাসক শিবিরের অভিযোগ, এই কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি কমিশন।
আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কোনও উত্তর দেয়নি দেশের নির্বাচন কমিশন। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যের শাসকদলকে সমঝে দিয়েছেন জ্ঞানেশ কুমার। বিএলও-দের কাজে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ বা বাধা তৈরি করা যাবে না বলেই বার্তা দিয়েছেন তিনি। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে বুথ স্তরীয় আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, বিএলও-দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্য়েই ডিজিপি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখেছেন জ্ঞানেশ কুমার। বিএলওদের উপর যেন কোনও রাজনৈতিক দল চাপ তৈরি করতে না পারে, চিঠিতে সেই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।
এদিন কমিশনের দফতরে গিয়ে মোট পাঁচটি প্রশ্ন করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁদের প্রথম প্রশ্নই ছিল ভুয়ো ভোটার বা অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিতে যদি এসআইআর হয়ে থাকে, তা হলে অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে তা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর কমিশন দেয়নি। বরং কোনও অনুপ্রবেশকারী চাইলেও ভোটার হতে পারবে না বলেই বার্তা নির্বাচন কমিশনের। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন, যাঁরা অবৈধ ভাবে দেশে প্রবেশ করছেন, তাঁদের কোনও ভাবেই ভোটপ্রদানের অধিকার নেই।