
কলকাতা: বিধায়কের মেয়ে থেকে অঞ্চলপতি, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থেকে কাউন্সিলর, কে নেই। বিরোধীরা বলছেন দাগি তালিকার যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু তৃণমূল আর তৃণমূল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওই দাগি তালিকা সামনে আসার পর থেকেই তীব্র চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দেগে চলেছে বিরোধীরা। যদিও কুণাল বলছেন, বাংলার যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই তো তৃণমূল। তাঁর এ মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন কুণাল। দাগি শিক্ষকদের প্রসঙ্গ উঠতেই অকপটে বললেন, “বাংলার যেদিকে তাকাবেন সেখানেই তৃণমূল। সুতরাং অনুপাতে সব ব্যাপারেই তৃণমূলকে বেশি দেখা যাবে। আর কেউ কারও আত্মীয়-স্বজন হওয়াটা দোষের হতে পারে না।” একহাত নিয়েছেন সিপিএমকেও। খোঁচা দিয়ে বলছেন, “হোলটাইমার হিসাবে নাম লেখালেই পরিবারে কারও না কারও সরকারি চাকরি। সেই সময় এ সমস্ত সব ছিল না। সে কারণেই এখন দু’চারটে কথা বলছে।” অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলছেন, “বিজেপি ওই ব্যাপম কেলেঙ্কারি, অমুক-তমুক ওইসব সামলাক।”
এদিকে ১৮০৬ জন দাগির তালিকা সামনে আসতেই দেখা যায় সেখানে যেমন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষের নাম দেখা গিয়েছে। তেমনই নাম দেখা গিয়েছে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে রোশনারা বেগমকে। নাম রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ঘনিষ্ঠেরও। পাশাপাশি নাম রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষেরও। রয়েছে অঞ্চল সভাপতি, একাধিক তৃণমূল নেতারও নাম।