
নিয়োগ মামলায় একের পর এক কড়া পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় শুরু হয়েছিল সিবিআই ও ইডি তদন্ত। সেই প্রাক্তন বিচারপতি এবার রাজনীতির ময়দানে। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদ্মের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার কথা তাঁর।
বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আজ আমি একেবারে নতুন জগতে পা দিলাম। এই সর্বভারতীয় দলে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মতো নেতারা আছেন। রাজ্যে আছেন সুকান্ত দা, শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের পরামর্শ আমার প্রতি মুহূর্তে লাগবে। আমি দলের একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। যে দায়িত্ব আমাকে দল থেকে দেওয়া হোক, আমি তা পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজ আর বিশেষ কিছু বলার নেই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথম উদ্দেশ্য হল, একটা দুর্নীগ্রস্ত দল ও সরকারের বিদায় লগ্নের সূচনা করে দেওয়া, যাতে ২০২৬ এ আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। একজন বাঙালি হিসেবে অত্যন্ত কষ্ট পাই যখন দেখি বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। একটা সিরিয়াস লড়াই শুরু করতে হবে। আমি দায়িত্ব পালন করছি কি না, তা দেখতে পাবেন আগামিদিনে।”
“জনগণের হৃদয়ে উনি জাস্টিস গাঙ্গুলী হিসেবেই থাকবেন।” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে এমনটাই বললেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে দলে স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এরকম একজন মানুষের খুব দরকার ছিল।”
বাড়ি থেকে বেরনোর সময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আজ আমার খুব ভাল লাগছে। একটা সর্বভারতীয় দলে যোগ দিতে যাচ্ছি, এটা বিরাট ভাল লাগার ব্যাপার। দল যা দায়িত্ব দেবে, সেটা নিষ্ঠাভরে পালন করব।”
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে আনতে বাড়িতে গেলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “মানুষের চোখে উনি অনেকটা দেবতার মতো। ওঁকে পেলে বিজেপি সমৃদ্ধ হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ওঁর যে লড়াই, তার একটা বড় প্লাটফর্ম পেয়ে যাবেন তিনি।”
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সল্টলেকের বিজেপি পার্টি অফিসে নিয়ে যেতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে উপস্থিত হন তিনি। অগ্নিমিত্রা বলেন, “অভিজিৎ বাবুকে দলে পেয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।”
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে অগ্নিমিত্রা
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কি লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে? দেওয়া হলে কোন কেন্দ্র থেকে? এই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি এখনও। তমলুক কেন্দ্রে তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে বলে বেড়েছে জল্পনা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “দল চাইলে ভোটে লড়ব, নাহলে যেখানে দল কাজ দেবে, সেখানে কাজ করব।”