Chitpur Women Harassment: দোষ কাটাতে মহিলাকে তারাপীঠে নিয়ে গিয়ে নিজেই ‘দোষ’ করে বসলেন জ্যোতিষী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 01, 2022 | 6:08 PM

Chitpur: পাথর নেওয়ার পর জ্যোতিষীর নতুন নিদান যে ওই মহিলা মাঙ্গলিক। তাই দোষ কাটাতে পুজোয় বসতে হবে।

Chitpur Women Harassment: দোষ কাটাতে মহিলাকে তারাপীঠে নিয়ে গিয়ে নিজেই দোষ করে বসলেন জ্যোতিষী
জ্যোতিষী সুভাষ ঘোষ (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

কলকাতা: মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে গিয়েছিলেন জ্যোতিষীর কাছে। কিন্তু তার ফল যে এত ভয়াবহ হবে হয়ত স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মহিলা। দোষ-ত্রুটি মুক্ত করতে জ্যোতিষী বলেছিলেন পাথর ধারণ করতে। আর তা না করলে স্বামী-সন্তানের অকাল মৃত্যু নিশ্চিত। সেই কথায় বিশ্বাসও করেছিলেন গৃহবধূ। তারপরই এমন মর্মান্তিক ঘটনা। তারাপিঠ নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ওই জ্যোতিষী।

ঘটনা ঠিক কী?
চিৎপুর থানা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত জ্যোতিষীর নাম সুভাষ ঘোষ। ওই এলাকাতেই তাঁর অফিস রয়েছে। মাস কয়েক আগে গৃহবধূ জ্যোতিষীর কাছে যান। এবার জ্যোতিষী তাঁকে জানান যে, মহিলাকে পাথর ধারণ করতে হবে। যদি সেই পাথর না পরেন তাহলে অমঙ্গল হবে। স্বামী সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলেও ভয় দেখান তাঁকে। স্বাভাবিক ভাবেই মহিলা আতঙ্কিত হয়ে পাথর কেনেন। এবং তা ধারণও করেন।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পাথর নেওয়ার পর জ্যোতিষীর নতুন নিদান ওই মহিলা মাঙ্গলিক। তাই দোষ কাটাতে পুজোয় বসতে হবে। করতে হবে যজ্ঞ। আর এই পুজো তারাপীঠে গেলেই সফল হবে। ফলে দু’দফায় ওই গৃহবধূকে জ্যোতিষী সুভাস তারাপীঠ নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে যজ্ঞ করার সময় শুকনো খাবারের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে মহিলাকে খাইয়ে দেয়। খাবারগুলি খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন মহিলা।

জ্ঞান ফেরার পর মহিলা দেখেন যে তাঁর শরীরের জামা-কাপড় সঠিক স্থানে নেই। গায়ে রয়েছে একাধিক আঁচড় ও নখের দাগ। তখনই কিছুটা সন্দেহ হয় মহিলার। তবে স্বামী-সন্তানের অমঙ্গলের কথা মাথায় আসতেই পুনরায় ওই জ্যোতিষীর সঙ্গে যেতে রাজি হয়ে যান তিনি। এরপর তৃতীয় দফায় সুভাষ ওই মহিলাকে যজ্ঞ করার জন্য নিয়ে যায় ডায়মন্ডহারবারে। সেখানে গিয়ে মহিলা বুঝতে পারেন জ্যোতিষী আসলে ভণ্ড। তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওই জ্যোতিষীর নোংরা লালসার শিকার হয়েছেন তিনি। ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে।

পরে বাড়ি ফিরতেই গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানান মহিলা। চিৎপুর থানায় জ্যোতিষী সুভাষ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।

এই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলার আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, “এই অভিযুক্ত নিজের পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করেছে। নকল পাথর বিক্রি করেছে, ধর্ষণ করেছে এবং ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে হোটেলে রুম বুক করছিল। মহিলাকে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।” গোটা ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের হেপাজতে নিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Magrahat Women body Recover: মধ্যরাতে ঘুম ভাঙতেই দেখেন পাশ থেকে উধাও স্ত্রী, সকালে মিলল কাটা মুণ্ড

আরও পড়ুন: Unreserved Coach in Train: আর ভিড়ে ঠেলাঠেলি নয়, পুনরায় ফিরছে অসংরক্ষিত কামরা

 

Next Article