মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ফোন, তারপরই ‘মিশন সাকসেসফুল’! পুলিশের জালে ১৩

Kestapur: সম্প্রতি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ কেষ্টপুরের একটি বাড়িতে হানা দেয়। জানা যায়, বাড়িটিতে ভাড়া নিয়ে চলত প্রতারণা চক্র।

মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ফোন, তারপরই 'মিশন সাকসেসফুল'! পুলিশের জালে ১৩
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 2:08 PM

কলকাতা: ফেক কল সেন্টার খুলে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল মোট ১৩ জন। গত ১৮ অগস্ট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় এই চক্রের অন্যতম চাঁইকে।

গত ১৮ অগস্ট কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিমে তিনটি ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করে সেদিন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শুভঙ্কর সাহা নামে আরও এক যুবকের নাম পুলিশের হাতে উঠে আসে। এবার তাঁকেও নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

অভিযোগ, এই দলটি কল সেন্টারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর জন্য লোকজনকে অনুরোধ করত। যাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি হতেন, তাঁদের কাছ থেকে নানা তথ্য চাওয়া হত। শুভঙ্কর সাহা নামে ওই যুবক গ্রাহকদের থেকে তথ্য নিয়ে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খুলে দিতেন বলে অভিযোগ। এরপর সেই অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড নিজের কাছে রেখে দিতেন ওই যুবক। অ্যাকাউন্টে টাকা পড়তেই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলে নেওয়া হত বলে অভিযোগ ওঠে।

শুধুমাত্র কেষ্টপুরের এই ঘটনাই নয়, শুভঙ্কর নামে ওই যুবক বিভিন্ন ভুয়ো কল সেন্টারেই এই ভাবে গ্রাহকদের প্রতারিত করতেন বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে। ধৃতকে শনিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

সম্প্রতি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ কেষ্টপুরের একটি বাড়িতে হানা দেয়। জানা যায়, বাড়িটিতে ভাড়া নিয়ে চলত প্রতারণা চক্র। বাজেয়াপ্ত করা হয় ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ডডিক্স-সহ বেশ কিছু নথি। মহিলা-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পারে, মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে আর্থিক প্রতারণা চালাত দলটি।

পরপর ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলছে কলকাতায়। সম্প্রতি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সেক্টর ফাইভে দু’টি ভুয়ো কল সেন্টারেরও খোঁজ পায় সম্প্রতি। দশ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বেশ কিছু ডিভাইস ও নগদ টাকা।  নিউটাউনের একটি কল সেন্টারে হানা দিয়েও ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিউটাউন ‘গ্রিন উড এক্সটেনশন’ বিল্ডিংয়ে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই চলছিল প্রতারণা চক্র। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা কমলেশ কুমার আর্য-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। পার্কস্ট্রিটেও এ ভাবেই ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার নাম করে কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতরা। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানেও কম্পিউটার সারানো কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটস সারানোর নাম করে প্রতারণার জালে ফেলা হত। আরও পড়ুন: ৬ দিনে টিকা দেওয়ার নিয়মে তিনবার বদল, কালীঘাটে টিকা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাধারণ মানুষ