AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake Vaccine: পেল্লাই গাড়ি হাঁকিয়ে অফিসে ঢুকতেন ‘বস’, মানুষের সঙ্গে জঘন্য ব্যবহার! রোজ সে সব দেখেছেন মিতালি

'খুব হাইফাই ব্যাপার ছিল ওনার। যখন আসতেন একদম বস বস ব্যাপার। সঙ্গে দুটো বডি গার্ড থাকত', আরও অনেক তথ্য দেবাঞ্জনের জানালেন ওই তরুণী।

Fake Vaccine: পেল্লাই গাড়ি হাঁকিয়ে অফিসে ঢুকতেন 'বস', মানুষের সঙ্গে জঘন্য ব্যবহার! রোজ সে সব দেখেছেন মিতালি
নিজস্ব চিত্র।
| Updated on: Jun 28, 2021 | 10:14 PM
Share

কলকাতা: দেবাঞ্জন দেবকে ঘিরে একের পর এক চমক। তাঁর বিরুদ্ধে শুধু জালিয়াতির অভিযোগই নয়, উঠছে লোকজনকে ধমকানো চমকানোর অভিযোগও। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ধমকের উপর রাখাই দেবাঞ্জনের ‘অ্যাটিটিউড’-এর অন্যতম বহিঃপ্রকাশ ছিল। অভিযোগ, তিনি নাকি সবসময়ই একটা আলাদা হাবভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন ঘনিষ্ঠ মহলে। নিজেকে বাকিদের থেকে আলোকবর্ষ দূরের কোনও তারকা ভাবতেই ভালবাসতেন এই তরুণ। কসবায় তাঁর যে অফিস, তারই নিচে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের মালকিনই ফাঁস করলেন সে সব কীর্তি।

কসবায় দেবাঞ্জনের যে অফিস ভবন, তার নিচে বহু ছোট গুমটি দোকান রয়েছে। এরকমই একটি দোকান রয়েছে দৈনন্দিন সামগ্রীর। ছুরি, কাঁচি, হাতা খুন্তি আরও অনেক কিছু পাওয়া যায় সেখানে। সেই দোকানের মালকিন একজন তরুণী। নাম মিতালি মণ্ডল। তাঁর চোখের সামনে দিয়েই রোজ পেল্লাই গাড়ি হাঁকিয়ে অফিসে ঢুকতেন দেবাঞ্জন দেব। সঙ্গে দুই নিরাপত্তারক্ষী। একেবারে ধোপধুরস্ত বাবু সেজে অফিস ঢোকা। কিন্তু সেই অফিসের গেটে ঢোকার আগে যদি কেউ দেবাঞ্জনের গাড়ির সামনে চলে আসতেন, তা হলে তাঁর আর রক্ষা ছিল না। হুমকি-হুঁশিয়ারি তো চলতই, এমনকী তাঁর এক ডাকে থানা থেকে পুলিশও নাকি এসে হাজির হয়ে যেত।

টিভি নাইন বাংলাকে মিতালি জানান, “খুব হাইফাই ব্যাপার ছিল ওনার। যখন আসতেন একদম বস বস ব্যাপার। সঙ্গে দুটো বডি গার্ড থাকত। রাস্তায় কিছু রাখা যেত না। যদি কেউ ধারে কাছে চলে আসত, কিংবা ওনার গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ত খুব খারাপ ভাবে কথা বলতেন। রীতিমতো হুমকি দিতেন। এমনকী থানা থেকে পুলিশ পর্যন্ত ডেকে আনতেন। হয়তো যার সঙ্গে ঝামেলা ওই লোকটা ততক্ষণে চলেও গিয়েছে। তবু এমন দাপট ছিল, পুলিশও চলে আসত।”

আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই দেবাঞ্জনের সব কীর্তিকলাপ

তখন লোকজন ভাবতেন অত বড় অফিসার, সে কারণেই বোধহয় এত মেজাজ দেখান। কিন্তু গত সপ্তাহে যখন প্রথম পুলিশ ওই অফিস থেকে হিড় হিড় করে টেনে বের করে নিয়ে গেল দেবাঞ্জন দেবকে। হতবাক ওই চত্বরের লোকজন। তখনও তাঁরা বিশ্বাস করেননি, এত বড় কেলেঙ্কারি করেছেন দেবাঞ্জন। দিন যত এগিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে সবটা জেনেছেন তাঁরাও। এখন এলাকার লোকজন বলছেন, চোরের মায়ের বড় গলা যে কথার কথা নয় এখন সেটা বুঝতে পারছেন।