ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এখনই সিবিআই তদন্তের দরকার নেই, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: রাজ্যের তদন্তে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সিবিআই তদন্তের আর্জি খতিয়ে দেখা যেতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে তদন্তে খামতি আছে বলে মনে করছে না আদালত।
একইসঙ্গে এদিন আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য যে ভাবে তদন্ত করছে তা এগিয়ে নিয়ে যাক। রাজ্যের তদন্তে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন প্রথম কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে তড়িঘড়ি গ্রেফতারও করে পুলিশ। তদন্তে গতি আনতে লালবাজার গঠন করে সিট। প্রাথমিক ভাবে রাজ্য যে ভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তা সন্তুষ্ট হাইকোর্ট।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ে হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর মধ্যে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। বাকি তিনটি মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্য়োতি তিওয়ারি, তাপস মাইতি ও আইনজীবী সন্দীপন দাস। সেই আবেদনেরই এদিন শুনানি চলছিল।
আদালত কক্ষে শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, খুব দ্রুত ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় চার্জশিট পেশ করা হবে। কয়েকটি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, গত ৩০ শে জুন পর্যন্ত এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫০ জনের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। দু’জনের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অগণিত মানুষ ওনার সুস্থতা কামনা করছে’, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতিচারণায় ডুবলেন মোদী
দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে শাসকদলের একাধিক নেতার ছবির প্রসঙ্গ এদিন আদালত কক্ষে উঠে আসে। তবে এ অভিযোগ আদৌ পোক্ত কি না তা বোঝাতে গিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল উদাহরণ হিসাবে তুলে আনেন রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ। বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গেও তো দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর ছবি রয়েছে। তা হলে কি রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তোলা হবে? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে একজন মহিলার ছবি দেখা গিয়েছিল। অথচ ওই মহিলা দাবি করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কখনও দেখাই করেননি। তা হলে কি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আইনি লড়াই চলবে? এজলাসে কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, এটা কি আমাদের দেশের আইন? এরপরই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে আদালত।