Fire Burst in Kali Puja: পুড়ে খাক কালীপুজোর মণ্ডপ! দাউ দাউ করে জ্বলছে রঙের কারখানা, ছুটে গেল ৮টি ইঞ্জিন
Fire Erupted in Kali Puja Mandap: শুধুই শহর নয়, কালীপুজোর দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে শহরতলিতেও। আমতায় জোড়া দোকানে লেগেছে আগুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতার জয়পুরের খালনা এলাকায় একটি পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের দোকানে মোমবাতি জ্বালানোর সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকানেও।

কলকাতা: আগুনের স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দিল গোটা মণ্ডপ। রাতারাতি আলোর উৎসব পরিণত হল একটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতায়। নামল আঁধার। চিন্তার ভাঁজ পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে। সোমবার রাতে বেহালায় পড়ল শোরগোল। তৈরি হল উত্তেজনা। আগুন লাগল পুজো মণ্ডপে।
বেহালা চড়কতলার পূর্বাশা এলাকায় ১১৬ নং ওয়ার্ডের একটি কালীপুজোর মণ্ডপ ‘গিলে খেল’ লেলিহান অগ্নিশিখা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পূর্বাশা আঞ্চলিক যুবক সংঘের পুজো মণ্ডপে লাগে আগুন। নিমেষে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা মণ্ডপ ও সেই সংলগ্ন চত্বরে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পুজো মণ্ডপটি। ছুটে যান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু লাভ হয় না।
দাহ্য বস্তু দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হওয়ায় তা নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকল আসার আগে পর্যন্ত স্থানীয়রাই আগুন নেভাতে মরিয়া চেষ্টা চালান। তারপর মিনিট খানেকের মধ্যেই অকুস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয় আগুন। প্রাথমিক অনুমান, আতশবাজি থেকেই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য, গোটা মণ্ডপ পুড়ে গেলেও, প্রতিমা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলেই জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
শহরতলিতে জোড়া আগুন
শুধুই শহর নয়, কালীপুজোর দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে শহরতলিতেও। আমতায় জোড়া দোকানে লেগেছে আগুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতার জয়পুরের খালনা এলাকায় একটি পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের দোকানে মোমবাতি জ্বালানোর সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকানেও। ভর সন্ধ্যায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে দু’টি দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে উদ্যত্ত হন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারাও।
আগুন লাগে খড়দহে
মঙ্গলবার সকালে আগুন লাগে খড়দহের ঈশ্বরীপুরের একটি রং কারখানাতেও। প্রাথমিক অনুমান, শট সার্কিটের কারণেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তার মধ্যে আবার রঙের কারখানা। ফলত, দাহ্য রাসায়নিককে অণুঘটক করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। এই ঘটনার খবর পেয়েই প্রথমে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে আরও ৩টি ইঞ্জিন পাঠানো হয় দমকল তরফে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
